Posts

ফিকশন

মানুষের বহু মন -3

August 5, 2025

Shassue mllah

139
View

তারপর থেকে সে আমার সাথে আর কথা বলতো না । আমি অনেক চেষ্টা করেও কোনো কথা হয় নাই । সামনে আর কিছুদিন পর ইন্টার পরীক্ষা কিছু ভালো লাগে না । লেখাপড়া থেকে দূরে সরে যেতে থাকলাম । তারপর বাড়িতে আসলাম আসে দেখা হলো কিন্তু কথা বলার সুযোগ আর হলো না । কারণ গ্রামে ছেলে মেয়ে কথা বলতে দেখলেই কতো কিযে হয়ে জায় । তারপর জানতে পারলাম যে তাকে দেখতে আসছিলো কিন্তু বিয়ে ঠিক হয় নাই । পরে আরো জানলাম যে তার অভ্যাস নাকি খারাপ হয়ে গেছে এদিক ওদিক ঘুরে প্রাইভেটে জায় আগে আসে অনেক দেরি করে । এসব কিছু নিয়ে চিন্তায় আমার অবস্থা খারাপ । এর মাঝে পরীক্ষা চলে আসলো কোনো রকম ভাবে পরীক্ষা দিলাম । মেস ছেড়ে বাড়িতে এসে পড়লাম । আব্বু অসুস্থ তারপর আর্থিক অবস্থা ভালো না আমাকে পড়াতে গিয়ে বোনের বিয়ে দিতে গিয়ে অনেক ঋণের সাগরে পরে যাই আমরা । আব্বু এই ঋণের টাকা নিয়ে টেনশন করতে করতে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে জায় । আমি বাসায় আসার পর থেকে মাঠে কাজ করা শুরু করি । নিজেরা যেটুকু চাষ করতাম তার কাজ করতাম আবার অন্যের কাজ করতাম । এইভাবে দিন পার হচ্ছিলো কাজ করতাম যা টাকা পেতাম নিজে কিছু রাখতাম আর আব্বুকে দিয়ে দিতাম । এরপর চলে আসলো আমার পরীক্ষার রেজাল্ট দেবার দিন আমি তখন মাঠে কাজ করছিলাম ফোন ছিলো কিন্তু দেখি নাই রেজাল্ট আমার একটা ফ্রেন্ড আমাকে কল দিলো দিয়ে বললো কি করছিস তুই এইটা । আমি ভাবছি হয়তো ফেল করছি পরে শুনলাম 3.58 পাইছি মাত্র । মনটা খারাপ হয়ে গেলো দুপুরে গোসল ও খাবারের জন্য বাড়িতে গেলাম আম্মু বললো খুব কামাই করছেন আসেন খেয়ে নেন । কথাটা শুনে বুকের ভেতরটা কেমন যেন করে উঠলো মনে হলো যে আমি কোনো কাজের না বাপের টাকা নষ্ট করছি মেসে থেকে । এরপর আমার লেখাপড়া বন্ধ হয়ে গেলো পুরাপুরি কৃষি কাজ শুরু করলাম । অন্য গ্রামেও কাজে যেতাম ঋণের টাকা দিতে না পারলেও সংসার ভালো চলছিল । এরপর একদিন আব্বু বললো পুলিশে আবেদন করে দেখ কি হয় । আমি বললাম করবো না কারণ এর আগেও আর্মি , নেভি , পুলিশ এ বাদ পড়ছি তাই আশা ছেড়ে দিছি । তারপর আব্বুর জন্য আবেদন করতে হলো । এর মাঝে মেয়েটাকে নিয়ে কোনো খারাপ লাগা কাজ করে নাই । আল্লাহর রহমতে চাকরিটা পেয়ে যাই । চাকরি পাওয়ার খবর প্রথমে কেউ জানতো না আমি বলিও নাই। যখন আমার বিষয়ে তথ্য জানতে গোপনে গোয়েন্দা বিভাগ থেকে লোক আসলো তখন জানা জানি হলো । এর মাঝে একদিন দেখলাম ফেসবুকে ফ্রেন্ড সাজেশন এ তার ( আমার সেই ভালোবাসা ) আইডি আমি একটু অবাক হলাম আমাকে তো ব্লক করে রাখছিলো । তা আমি সাথে সাথে তার আইডি তে রিকোয়েস্ট পাঠালাম অনেক্ষণ পর একসেপ্ট করলো । এইভাবে কথা হয় কথা হতে হতে আমরা আবার সবকিছু ঠিক করে ফেলি । চাকরি হওয়ার পর ট্রেনিং করতে হবে তাই আব্বু আমাকে এর কাজ করতে দিত না ।  এরপর থানা থেকে ট্রেনিংয়ের যাবার নোটিশ আসলো চলে গেলাম ট্রেনিং সেন্টারে । কাছে ফোন নাই আসলাম কি না বাসায় বলতে পারলাম না । খুব খারাপ লাগা শুরু হলো যেমন শারীরিক কষ্ট তেমন মানসিক কষ্ট সব মিলিয়ে মানিয়েই নিতে পারছিলাম না । ট্রেনিং সেন্টারে  যাবার 13 দিন পর 5 মিনিটের জন্য বাড়িতে কল দেবার সুযোগ পা ই । এইভাবে সপ্তায় একদিন দুইদিন কথা হ্ত । পরে ট্রেনিং সেন্টারের যে কিলিনার মামা ছিল তার মাধ্যমে একটা ফোন কিনলাম । সিম কোথায় পাবো এইটা হলো বড়ো সমস্যা । তারপর আমার রুম মেট এর কাছে সিম ছিলো ঐটা ঢুকাইলাম । তারপর থেকে কথা হত বাসায় প্রতিদিন । আমি ভোর 4:30 এ উঠে মেডি হয়ে পিটি থেকে শুরু হত আমার দিন আর রাত 9:30 এ  রল কল দিয়ে শেষ হত । টাইম পেতাম না তাও যতটা সময় পেতাম কথা বলতাম কিন্তু ও আমার কাছে প্রচুর সময় চাইতো আমি দিতে পারতাম না । এই ভাবে চলতে থাকে একদিন ফোন চেকিং এর সময় আমি ধরা খেয়ে গেলাম 3 দিনের প্যানিশমেন্ট হয়ে গেলো । আর কারো সাথে কথা হয় না ঐ 3 দিন যে কেমনে কাটছে আমি জানি । ট্রেনিং প্রায় শেষ হবে এমন সময় আব্বু আসছিলো দেখা করতে আব্বুর কাছ থেকে ফোন নিয়ে ফেসবুক লগইন করলাম ওর আইডি আমার কাছে ছিলো । দেখলাম কয়েকটা ছেলের সাথে কথা হইছে তবে মেসেজ গুলো রিমুভ করা ………

Comments

    Please login to post comment. Login

  • Kazi Eshita 4 months ago

    তারপর কি হল?