পোস্টস

কবিতা

দেবী রহস্যময়ী

৩০ মে ২০২৪

মোঃ ওমর ফারুক আকন্দ

আজ পৃথিবীর পাড়ে ঘন আঁধার 
ঝড়ে ভাঙা ঘরে বিধবার মত। 
ঐদিন আকাশে অগণিত তারা ছিল, 
শুনশান নীরব সন্ধ্যায় ছায়াবনবৃক্ষের ভেতর, 
বুক ভরা নীল বেদনায় উদাস দুপুরে 
চুপিসাড়ে হেটেছি কত পথ,
একা অনাথ—সাতাশ বছর বেকার জীবনের মত,
বিশাল ঘন অন্ধকার ছিল।
অনেক অন্ধকার,
অতঃপর সে এসেছিলো, সেখানে। 

এক বৃহস্পতিবার রাতে দেখেছি তারে 
নিসর্গ প্রকৃতির মাঝে। 
যাত্রীর লাগেজ নিয়ে পিড়াপিড়ি মুটেদের 
মজুরির চাহিদার মতই সুন্দর সে চোখ। 
কৃষকের একমাত্র কাস্তের মত 
মুখে শোভা তার। 
সেই চোখ তুলে বারবার এগিয়েছে, 
বিষাদ মনে ঝরিয়েছে ফুলকিওয়ালা আগুন, 
ঠোঁটের মিসাইল-কার্তুজে ঝলসে দিয়াছে শরীর ও মন।

উদাস দুপুরে চুপিসাড়ে 
নদীর ধারে 
মরুভূমি প্রান্তরে 
লেকের পাশে 
হেটে হেটে বিমর্ষ করেছে
আপাদমস্তক হৃদয়খানি,
নাম তার দেবী রহস্যময়ী। 
তার প্রেম জলের শৈবালের মত
কোথায় কখন গা ভাসায় বোঝা যায় না। 
যেমন বোঝে না কচুরিপানার স্থায়ীত্ব 
পুকুর,খাল ও নদীর মোহনারা। 


বছর দশেক পরে—
ক্লান্তি,চেতনা,অবসাদ কিংবা 
চেয়ে চেয়ে ভ্রান্তির পথ, 
উদিত হয় মাথার ভেতরে কোন এক বোধ। 
মাঝির নৌকার বৈঠার মত 
অদ্ভুত সে অস্তিত্ব হৃদয়ে টান মারে!! 

হৃদয়ে স্মৃতি টান মারে 
পথ গভীর হয়ে আসে রাত ফুড়োনোর তরে।
রহস্যময়ীদের প্রেমে বাড়তি স্পর্ধায়–উপেক্ষায়
আর ক'জন ক্লান্ত হ'য়ে আছে? 

আর ক'জন ক্লান্ত হ'য়ে আছে 
দূর্বাঘাসের 'পর 
সমুদ্রের পাড়ে
অন্ধকারের ভেতর 
পৃথিবীতে পথে পথে 
গহীন বনের সাঝেঁ
বধির,অন্ধ কিংবা মূক রূপে। 
এহেন দুর্বোধ্য হৃদয় খানা 
আবার ডুবে রাখে সে কোন বক্ষে? 
কোথায় সে? 

কোথায় সে? 
শান্তি আসে, ক্লান্তি আসে, অসুখ আসে।
কত যুগ দেখি না তাকে!!
খুঁজি না তাকে অন্ধকারে।।