নীলান্জনার মা বাবাকো জিজ্ঞেস করে
ও গো, তুমি মেয়েকে নিয়ে কিছু ভাবো? ------এখন আবার কি কথা শুনালে মন্থুরা।
-- হেয়ালি ছাড়ো আমি বলছিলাম কি সে দিন ও মামা বাড়ি গেলো।আবার চলে এলো। ওর মামা মামি বলেছিলো ভালো একটা ছেলে দেখালাম ও নাকি বলেছে তাদের ও বিয়েই করবে না। এ কেমন কথা? হিন্দুর মেয়ে কে ঘরে পুষে রাখার জিনিস। তাছাড়া বয়েস ও তো হয়ে যাচ্ছে নাকি? আগে থেকে ভাবলে চলে।
অনেক গুলো কথা বলে চলেছে বাবা একটা কথাও না বলে তার হাতে থাকা বই পড়েই যাচ্ছিলো। বিরক্ত হয়ে মা রাগে। হাতে থাকা বাটি টেবিলে ঠাস করে রাখে। ভাব বুঝে বই থেকে মুখ তুলে বাবা বলে
-- তোমার আবার কি হলো? বলছিলে মেয়ের কথা এখন দেখছি তোমারই মাথা গরম হয়ে গেল। তাহলে মেয়ে তো বলবেই আমি বিয়ে টিয়ে করবো না। এতে অবাক হওয়ার কি আছে। মা রেগে মেগে বলে
--তুমি সারাটা জীবন তুমি এই উদাসী ভাবে সংসার করলে আর যতো চিন্তা আমার। বাবা হাতের বই নামিয়ে রেখে বললো
-- আচ্ছা এবার বলো কি বলতে চাওও?
-- বলছি কি কয়েক দিন আগে ঘুমের ঘোরে হিমু হিমু করে কি সব বলছিলো। ওর কথা গুলো নাটক সিনেমার ডায়লগের মতো লাগলো।
-- ভার্সিটিতে মেয়ে পড়ে নাটক দেখে ঘুমের মধ্যে হয় তো সে সবই বলেছে। তুমি মেয়ের মা তাই তোমার দুশ্চিন্তা হওয়ারি কথা