অফিস গরম কে ফেলে আলাউদ্দিন আলীর স্ত্রী। তাকে ঠান্ডা করার দ্বায়িত্ব নিজেকেই নিতে হবে। শাওন কি বা দোষ করলো আর আমি কি দিয়ে বুঝ দিবো। তবু মুখ বুঝে থাকাও যায় না। এর একটা সলিউশন দেওয়া দরকার। তাই স্ত্রী আলেয়াকে জিজ্ঞেস করে
--- নাইমার মা, ও নতুন এসেছে। অনেক কিছু বুঝতে সময় লাগবে। তাছাড়া নতুন এক জন অন্যায় করলে মাফ করে দাও আলেয়া। ভাব নিয়ে আলেয়া বলে
-- না, ও যে অন্যায় করেছে ওকে শাস্তি পেতেই হবে। আলাউদ্দিন আলী রাগ করে বলে
-- সারা জীবন তুমি একই রকম থেকে যাবে। ঠিক আছে তুমি বলো ওই ছেলেকে কি শাস্তি দিতে চাও আমি দেব। তুমি যদি বলো ওকে এখনি চাকরি থেকে বরখাস্ত করে দেব। মনে মনে হেসে চালাকি করে বলে
-- ওর শাস্তি তুমি নয় আমি দেব।
-- ঠিক আছে।
কিছু সময় কেউ কোন কথা বললো না। শাওন মনে মনে প্রমাদ গোনে এখনি তার শেষ অফিস। নীরবতা ভেঙে আলেয়া বলে
-- এই ছেলের শাস্তি হলো ওর বেতন বাড়িয়ে দিতে হবে। ওর জন্য একটা গাড়ি কিনতে হবে। আর ওর প্রোমোশন দিতে হবে। এই হলো ওর চরম শাস্তি।
-- আলাউদ্দিন আলী ও শাওন অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে রয়েছে। আলেয়া বলে
-- এই হলো ওর শাস্তি।