ইসরায়েলকে 'অবিলম্বে এবং সম্পূর্ণ' বয়কটের আহ্বান জানিয়ে একটি চিঠিতে সই করেছেন ২০৭ জন লেখক। এদের মধ্যে আছেন এলিফ শাফাক, জ্যাডি স্মিথ, মাইকেল রোজেন, আরভিন ওয়েলশ, জিনেট উইন্টারসন, হানিফ কুরেশি, ব্রায়ান এনো, জর্জ মনবিওট, বেঞ্জামিন মায়ার্স, জিওফ ডায়ার এবং সারাহ হলের বিখ্যাত লেখকরা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েল যতক্ষণ পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় খাদ্য, চিকিৎসা সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় মানবিক সহায়তা প্রবেশের অনুমতি না দেবে ততক্ষণ পর্যন্ত দেশটিকে সম্পূর্ণভাবে বয়কট করতে হবে।
লেখকরা বিশ্বব্যাপী সকল মানুষ, প্রতিষ্ঠান, সরকার এবং রাষ্ট্রের প্রতি ইসরায়েলকে বয়কটের এই আহ্বান জানিয়েছেন। তারা জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে পুনরায় গাজার ত্রাণ ব্যবস্থা পরিচালনার অনুমতি দেওয়ার জন্য ইসরায়েলের ওপর চাপ দিতে পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি আবেদন জানান।
চিঠিটির উপসংহারে বলা হয়েছে, 'গাজার শিশুরা, সকল শিশুর মতো, তারা আমাদের সকলের সন্তান এবং আমাদের বিশ্বের ভবিষ্যৎ। তাদের জন্য আমরা এই বয়কটের আহ্বান জানাই এবং সকলকে এটি পালনের অনুরোধ করছি।'
এর আগে গত মে মাসে শতাধিক লেখক স্বাক্ষরিত একটি চিঠিতে গাজা উপত্যকায় গণহত্যা চালানোর জন্য ইসরায়েলকে দায়ী করা হয়েছিল।
এদিকে প্রায় দুই বছর ধরে গাজা যুদ্ধ চলছে। নৃশংস এই যুদ্ধে ইসরায়েলি বাহিনী বোমা হামলার মাধ্যমে নির্বিচারে ফিলিস্তিনিদের হত্যা করছে। এখন অবরুদ্ধ এই উপত্যকার অসহায় মানুষকে অনাহারে হত্যার নীতি গ্রহণ করেছে ইসরায়েলি সরকার।
ফলে গাজায় ক্ষুধাজনিত মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমেই বাড়ছে। গত সপ্তাহে ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশন (আইপিসি) সতর্ক করার পর এখন মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। আইপিসি জানিয়েছে, গাজা উপত্যকায় বর্তমানে দুর্ভিক্ষের সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় হামলা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েলি বাহিনী। ভয়াবহ এই যুদ্ধে এ পর্যন্ত ৬১ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। নিহতদের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান