নীলান্জনার আজ বেশ কয়েক মাস পড়ে ভার্সিটির ক্যাম্পাসে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রবেশ করেই এদিক সেদিকে তাকায়।৷ ওর চোখ কাকে খোঁজে সে নিজেও জানে না। নীলা হাটে আর ভাবে এই সেই গাছ যার তলায় হিমাদ্রির সাথে রাগ হয়। সে দিনের সেই কথা আজ আর মনে করতে চায় না নীলা।
-- আরে নীলান্জনা কেমন আছো? শম্বিত ফিরে পেয়ে দেখে মিতুল স্যার। উত্তরে বলে
-- ভালো,স্যার। আপনি ভালো আছেন?
-- হ্যাঁ, আমি ভালো আছি। স্যার চলে যায়।
নীলান্জনা আস্তে আস্তে রেজিস্ট্রার রুমে ঢুকে নাইম স্যারকে সালাম দিতেই তিনি বললেন
-- আরে, নীলান্জনা। এসো ভেতরে এসো।
নীলান্জনা ভেতরে ঢোকে। স্যার বলে
-- কি।মনে করে?
-- আমার বাকি বেতনের টাকা দিতে এসেছি।
-- ও, আচ্ছা।
-- কতো টাকা হয়েছে স্যার? নাইম স্যার খাতা দেখে হিসাব করে বললেন
-- তিন হাজার সাত শত পঞ্চাশ টাকা।
নীলান্জনা হাতের ব্যাগ থেকে চার টি একশত টাকার নোট বেড় করে দিলো। স্যার টাকা নিয়ে দুই টি এক শত টাকার আর একটি পঞ্চাশ টাকার নোট ফিরিয়ে দিলো নীলান্জনাকে। নীলান্জনা সোজা ধীর পদক্ষেপে হেটে হেটে কজেল থেকে বেড় হয়ে আর এদিকে ওদিকে তাকায় দেখা যায় কিনা তাকে। চলবে