প্রিয় পুতুল
কাজী ফাল্গুনী ঈশিতা
ছোটবেলায় অজস্র পুতুল ছিল আমার। যার এক একটার হরেক রকম নাম। ডায়ানা, ভেরোনিকা কত কি! কিন্তু আমার না কেন যেন বার্বি পুতুলের প্রতি অসম্ভব আকর্ষণ ছিল। তবে যে সময় আমার পুতুল খেলার বয়স (নব্বই দশকের শুরুর দিকের কথা বলছি) , সেসময় বাড়ির পাশের দোকান গুলোতে বার্বি কেবলি স্টক আউট হয়ে যেত।
প্রাপ্তবয়স্ক নারীর আদলে গঠিত বলে বার্বি আমাকে কিনে দেয়া হতো না। (এ বিষয়টি বড়ো হবার পর জেনেছি)। বাড়ির লোকেরা মনেকরতেন ওই জিনিস নিয়ে ওই বয়সে খেললে আমি ইঁচড়ে পাকা হয়ে যাবো , হায়রে কপাল!
বার্বি চরিত্রটির সাথে যারা পরিচিত, তারা জানবেন , যে বার্বি রা তিন বোন। বড়ো বার্বি, তারপর স্কিপার, আর কেলি তাদের সবারছোট।আবার বার্বির একজন সুদর্শন বন্ধু ও আছেন, যার নাম কেন। বার্বি পুতুলের প্যাকেট এ কেন ও থাকে।
বার্বি তে পরিবারের আপত্তি থাকলে ও, কেলি নিয়ে খেলতে কোনো বাধা ছিল না। ওই সময়ে এক প্যাকেট এ ছয়টা কেলি পাওয়া যেতমাত্র ৭৫ টাকা তে। ছোট ছোট লাল জুতো আর ফ্রক পড়া পুতুল গুলো আমি পড়াশোনায় ভালো করলেই কিনে দেয়া হতো ২৫ টাকাজোড়া করে। এ পুতুলগুলো শুধু খেলায় না,অংক করা, ছবি আঁকা, অনেক রকম ভাবে পড়াশোনায় কাজে লাগাতাম। এখন কেলিরনাম এ যে চায়না র পুতুলের ২০০ টাকার প্যাকেট পাওয়া যায়, ওরকম ঠুনকো ছিল না আমার গুলো। আমার কাছে আমার সবচেয়েকাছের, না-মানুষ বন্ধু ছিল কেলি ।
বড়ো হবার পর নিজে চাকরি করে অনেক বার্বি কেলি কিনেছি ভাইঝি :আর ভাগ্নির জন্য। কলেজের সময়ে ভিনদেশে ও দেখেছি প্রচুর, তবে তখন কিনবো কার জন্য?
বাচ্চাকালের এই না-মানুষ বান্ধবীটিকে সংগ্রহে রাখতে চাই, ওর সাথে জড়িত অনেক স্মৃতি মনে রাখতে।