আমার নাম রনি । আমার বয়স 21 বছর । আমার জীবনটা আর দশটা মানুষের মতো ছিলো কিনা তা আমার জানা ছিলো না তবে মনে হত আমি আলাদা নিজেকে ছোট মনে হতো । সমাজে মাথা উঁচু করে বুক ফুলিয়ে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারতাম না । হয়তো এইটাই ছিলো জীবনের সবচেয়ে বড়ো একটা ভুল । আমি তখন মাত্র ক্লাস সেভেনে পড়ি । গণিত প্রাইভেট পড়তে যেতাম সকাল 07:00 টায় । আল্লাহর রহমতে আমি লেখাপড়ায় বেশ ভালো ছিলাম বিশেষ করে আমি গণিতে পাকা ছিলাম বললে চলে । স্যার অংক করতে দিলে আগে আগে শেষ করে খাতা জমা দিতাম । এর জন্য অনেকে হিংসা করতো বুঝতে পারতাম । একটা মেয়ে ছিলো তানজিনা নাম ওকে আমি আমার প্রতিযোগি ভাবতাম । কারণ মেয়েটা অংকে বেশ ভালো ছিলো আর কথা বলতে গেলে তার মুখ ধারালো ব্লেড । মাঝে মাঝে তার দিকে তাকাতাম দেখতাম আমার দিকে তাকাই আছে । সে আমাকে পছন্দ করতো কি না জানি না তবে আমি তাকে পছন্দ করতাম । তাইতো মাঝে মাঝে আমি তাকাতাম কিন্তু আমার উদ্দেশ্য একবারও সফল হতো না বুঝতাম না ও কিভাবে বুঝতো যে এখন আমি তাকাবো । যখনি তাকাতাম ও কেমনে যেন বুঝে আর চোখে তাকাতো । তাই বাধ্য হয়ে চোখ নামায় নিতাম । তা ওকে আমার বেশ ভালো লাগতো কিন্তু সে সময় বয়স বা কত লজ্জা ভয় বিভিন্ন কারণে বলা হয় নাই । তারপর দুই বছর একসাথে পড়ি সব নরমাল এত আহামরি কিছু ছিলো না । এরপর ক্লাস নাইন থেকে একটা মেয়ের সাথে সম্পর্কে জড়াই সেটাতো সব আপনারা জানেন । তাই আর এই বেপারে মাথা ঘামাই নাই । কিন্তু জীবন বড়ো বিচিত্রময় কার জীবন কোন দিকে প্রবাহিত হবে তা কেউ জানে না । আমার চাকরির পর আমার স্কুল ফ্রেন্ড মিম আমাকে ফেসবুকে রিকোয়েস্ট দেয় । আমি একসেপ্ট করি । ও আমাকে মেসেজ দেয় খোঁজ খবর নেয় আমি তেমন আগ্রহ দেখাতাম না কারণ সবার মনের মানুষ সবাই হতে পারে না । কিছু জিনিস একজন অপছন্দ করে ফেলে জায় আবার কেউ সেই জিনিস প্রথম পছন্দ হিসেবে নিয়ে জায় । মিম যে মেয়ে খারাপ তা না তবে ওকে আমার মনে ধরতো না । আর মনে হতো এত দিন খোঁজ নাই এখন চাকরি আছে তাই আমন করছে । মনে হওয়াটা কিন্তু স্বাভাবিক কারণ চাকরির পর হটাৎ কথা বলার জন্য পাগল হওয়া বেপারটা কেমন না ? মিম তানজিনাকে চিনতো একদিন হটাৎ আমি তানজিনার কথা জিজ্ঞাসা করে ফেলি…………….
Comments
-
Kazi Eshita
3 months ago
ভালোবাসা, সেটা যেই দিক আপনাকে, অবহেলা করতে নেই। বানানগুলো দেখেন।