একজন ব্যবসায় প্রশাসনের ছাত্র হিসেবে আমেরিকা ও ভারতের বর্তমান ইস্যুর দিকে নজর রাখছিলাম। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী খুব ভালো সম্পর্ক করেছিলেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে। যার পিছনে ছিলো ২ টা উদ্দেশ্য আমার মতে,
প্রথম উদ্দেশ্য ছিলো নরেন্দ্র মোদীর গ্রহণ যোগ্যতা বাড়ানো নিজ দেশে এবং বিশ্বজুড়ে।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্য ছিলো ভারতের উন্নয়ন যেমন আমেরিকায় ব্যবসায় বাড়ানো আর আমেরিকা থেকে প্রযুক্তি সাহায্য নিয়ে মিসাইল, স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণ এবং দক্ষিণ এশিয়ায় নিজেকে রাজা হিসাবে ঘোষণা করা।
প্রথম উদ্দেশ্য মূল কেন্দ্রে ছিলো বিজেপির ক্ষমতা ভারতের দীর্ঘসময় বিরাজ রাখা। কারণ বিজেপি প্রধান নরেন্দ্র মোদী, তাই তার দলের নেতা কর্মী সবাই তার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখে এবং তা অভ্যন্তরীন রাজনৈতিক ব্যবস্থার মুখ্য ইস্যু হিসাবে কাজ করে। যখন দলীয় প্রধান নিজের পরিধি বাড়িয়ে নিতে পারেন তখন দলকে ঠেকানোর মত কেউ থাকে না।
বর্তমান আমেরিকার ট্যারিফ ইস্যুর কারণে নরন্দে মোদির প্রথম উদ্দেশ্য ব্যাঘাত ঘটাতে পারে।
দ্বিতীয় উদ্দেশ্যর কারণে ভারতের অভ্যন্তরীণ বাজারে বিশাল ইফেক্ট পড়বে। বিশেষ করে টেক্সটাইল শিল্প সহ কিছু শিল্প রপ্তানি ঝুঁকিতে পড়বে যার জন্য সাময়িক বেকারত্ব সমস্যা বাড়তে পারে, জিডিপি হ্রাস পাবে এবং অভ্যন্তরীন মুদ্রাস্ফীতি বাড়তে পারে।
আমার বিশ্বাস ভারত এই অবস্থা কাটিয়ে উঠতে পারবে। কিন্তু এর চেয়ে বিশাল পরিবর্তন ঘটতে পারে বিশ্ব ব্যবস্থায়। এশিয়ার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দেশ ভারত সবদিকে থেকেই৷ বিজেপি ক্ষমতায় আসার পরে ভারত একচেটিয়া সমর্থন দিয়ে যাচ্ছিল আমেরিকা কে। চীন সঙ্গে ভারতের দীর্ঘদিনের দূরত্ব ছিলো কিন্তু আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ট্যারিফ ইস্যুর কারণে চীন ও ভারত এখন কাছাকাছি আসার সম্ভাবনা রয়েছে। যার ফলে বিশ্বব্যবস্থার চীন আরও সামনে আসবে এবং ব্রাজিল ও রাশিয়া আগে থেকে চীনের সাথে আছে। এই মেরুকরণের জন্য শক্তিশালী সংগঠন হিসাবে গড়ে উঠবে ব্রিকস এবং নতুন বিশ্বব্যবস্থা জেগে উঠবে।