নীলান্জনা ভার্সিটি থেকে বের হয়ে রিকশা নিয়ে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলো। পথে এক টিনরিকশায় উঠতে রিকসসঅলাকে বলে
-- আনন্দ পুর যাবে?
-- হ্যাঁ যাবো উঠেন।
নীলান্জনা রিকশায় ওঠে।
রিকশা চলছে। নীলান্জনা ভেবে ছিলো হয়তো হিমাদ্রির দেখা হবে। ওকে কতো দিন দেখি না ।
!সামনের দিক থেকে আসা একটি রিকশায় হিমাদ্রি পাশে বসা ওর বাবা নগেন্দ্রনাথ। বাজারে যাচ্ছে কেনাকাটা করতে। দূর থেকেই পরিস্কার দেখা যাচ্ছে হিমাদ্রি কে। আগের চেয়ে চেহারা মলিন হয়ে গেছে।
সেও কতো মাস আগে হিমাদ্রির সাথে রাগারাগি করে কথাবলা দেখা বন্ধ। আজ আবার দেখা দোষটা নীলান্জনা নিজেরই মনে করে। কিন্তু একটা লোককে এতো অপদস্ত হেয় প্রতিপন্ন করে তার সামনে
মুখ দেখাবো কি করে।
আজকে হিমাদ্রির সাথে কথা বলবেই।
রিকশা কাছে আসতে আসতেই নীলা নিজের রিকশা থামতে বলে হিমুর রিকশাও ঈশারায় থামায়। নেমে যায়। হিমুও নেমে নীলা বলে তুমি ভর্তির টাকা জমা দিয়েছো? চোখের ঈশারায় কি যেন বোঝালো। পরে রিকশায় উঠে চলে যায় চলবে।