নীলান্জনার ফিরে আসা
--অমল সরকার
বিয়াল্লিশ পর্ব
হিমাদ্রি স্বপ্নেও ভাবেনি এই ভাবে পথে নীলান্জনার সাথে দেখা হয়ে যাবে।
রিকশা থেকে নেমে যখন নীলান্জনা ঈশারায় হিমাদ্রি কে কাছে আসতে বলে তখন হিমুর বুক ধুকপুক করছিলো। বাবা রয়েছে সাথে তারপর আবার সেই যে কতো দিন হলো রাগ করে যোগাযোগ বন্ধ। বুকে সাহস নিয়ে হিমাদ্রি রিকশা থেকে নামতে বলে
-- বাবা, তুমি একটু বসো। আমি ওই ছাত্রী কি বলে শুনে আসি। একটু দূরে দাঁড়িয়েছে নীলান্জনা হিমাদ্রি কয়েক পা এগিয়ে তার কাছে যায়। মনে মনে ঈশ্বর কে ডাকে হে ঈশ্বর তুমি আমাকে রক্ষা করো কাছে গিয়ে
-- কেমন আছো নীলা?
-- আমার খবর নেওয়ার কি কেউ আছে? ভালো আছি না মন্দ কেউ কি দেখার আছে?
--আমি তুমি রাগ করে সেই যে যোগাযোগ বন্ধ করে দিলে আমি কোন মুখে তোমার সাথে দেখা করি বলো? আমিও তো লজ্জায় আর তোমার সামনে আসার সাহষ দেখাইনি নীলা। ভার্সিটির বেতনের সব টাকা আমি পরিশোধ করে দিয়েছি। হিমাদ্রি অনুনয়ের ভঙ্গিতে বললো
---তুমি আমার জন্য আর কতো করবে নীলা?
-- এ আর কি করলাম। রিকশা থেকে হিমুর বাবা বলে৷
-- হিমু হলো রে? হিমাদ্রি বললো
-- হ্যাঁ বাবা। নীলাকে বলে ফোন নাম্বার টা ওপেন করা যায় না?
--- ওপেই আছে।
-- তাই!
ফোন দিও কথা বলবো। হিমাদ্রি বাই বলে ইশারায় রিকশায় গিয়ে ওঠে। বাবা জিজ্ঞেস করে
-- মেয়েটা কে হিমু?
-- ওর নাম নীলা।
-- কেন বাবা?
না। এমনি জিজ্ঞেস করলাম। চলবে।