পোস্টস

প্রবন্ধ

আশ্বিনের পূর্ণিমা অথোবা বহতা নদীর স্রোত

৩০ মে ২০২৪

রুদ্র সুশান্ত

এই যে শহরে ফ্লাইওভারের কাজ চলছে, অত্যন্ত ভালো খবর।  ফ্লাইওভারটা হয়ে গেলে যানজট নিরসন হবে এই প্রত্যাশায় বুকের ভিতর অনেক স্বপ্ন ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে ফ্লাইওভারের কাজ চলমান থাকা অবস্থায় ওইসব রাস্তা দিয়ে যারা প্রত্যহ যাতায়াত করেন তাদেরকে ধুলাবালির গভীর সাগরের মধ্য দিয়ে অত্যন্ত কষ্টে যাতায়াত করতে হচ্ছে। এতে ফুসফুস আক্রান্ত হয়ে শ্বাসকষ্টের রোগী ধীরে ধীরে বেড়ে যাচ্ছে। সুস্থ মানুষকেও  তো এসব রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে ধুলাবালির নাকানি-চুবানি খেতে হচ্ছে, এতে করে পরবর্তীতে সুস্থ মানুষও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত হওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।

ফ্লাইওভারের কাজ যেসব সংস্থা করছেন এবং দেখভাল করার জন্য যে সব উন্নয়ন সংস্থার কাছে দায়িত্ব অর্পিত আছে সেসব সংস্থা দায় এড়ানোর জন্য মাঝে মাঝে রাস্তায় সিটি কর্পোরেশনের বা ওয়াসার ট্রাক দিয়ে পানি ছিটান সকাল ন'টা থেকে দশটা নাগাদ। তাও অত্যন্ত অপর্যাপ্ত, দুই একটা মোড়ে অল্প অল্প পানি ছিটায় যা ছিটানোর পরে আধা ঘন্টা থেকে চল্লিশ মিনিট স্থায়ী হয়।
বিকেল নাগাদ যখন গাড়ির প্রবাহ বেড়ে যায় তখন ধুলাবালি এমন বিধ্বংস অবস্থায় ধারণ করে যে গাড়ির জানালা খোলার উপায় থাকে না। আরেকটা কথা বলে রাখি- সিটি এলাকার বেশিরভাগ লোকাল বাসের জানালার অবস্থা নাজুক, এসব জানালা যাত্রী'র প্রয়োজনে খোলা-বাধা করার সুষ্ঠু জো নাই

শীতের তীব্রতা শেষ, ফাল্গুন এসে গেছে। রাস্তার ধারে গাছপালাগুলো সবুজ সবুজ আর সবুজে ভরে উঠবে , বাস্তবে তা হওয়ার কথা। কিন্তু যেখানে ফ্লাইওভারের কাজ চলছে সেখানে রাস্তার দুই পাশে গাছের সবুজ পাতার উপর ধুলাটে আবরণ তীব্রভাবে লেগে আছে। যদি ঈশ্বর কৃপা করে বৃষ্টি দিয়ে ধুয়ে না দেন তাহলে এই সবুজ প্রকৃতির 'গোধূলি রঙ' সহসা সমাপ্তির পথ দেখবে না।  যাক্!  উন্নয়নের স্বার্থে সবুজের গল্প বাদ দিলাম।

মানুষের জীবনে  অসহনীয়, দুর্বিষহ এবং দুঃসহ  যাত্রাপথে ভোগান্তি লাঘব করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি, সুনজর আকর্ষণ করছি। সাধারণ যাত্রীদের এই দাবি যেন রথ দেখিয়ে কলা বিক্রির মত না হয়। 


রুদ্র সুশান্ত
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ইংরেজি।