অপটু হাতে কিংবা আনাড়ি হাতেও বলতে পার,
কলম ধরেছি লেখার জন্য, ভাবনা চলছে,
একটু আধটু ধ্বনি-শব্দের আনাগোনা টের পাচ্ছি,
কলমের ডগায় পংক্তির আলোড়ন শুরু হতেই
দুর্ভাবনা হুড়মুড় করে হাজির।
খানিকক্ষণ কেটে গেল বোধশক্তিহীন জড়বস্তুর মত,
নির্বাক চোখে স্পষ্ট অস্পষ্টতা কিংবা অদূরদর্শিতা,
কর্নিয়ার ঘূর্ণিঝড়ে এলোমেলো অক্ষিগোলক,
ধাঁধায় পড়ে কবিতার ঘোর কাটে,
সৃষ্টি হয় আরও এক অসম্পূর্ণ পথচলা।
কলমের হৃদয়ক্ষরণ শুরু হয়, সেকি প্রচন্ড রক্তপাত,
তীব্র যন্ত্রণার যাতনায় কবিতার জীবন ওষ্ঠাগত প্রায়,
মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে নেওয়া হল লাইফ সাপোর্টে,
শব্দ আর ধ্বনির সেকি ভয়ানক টানাপোড়েন,
যদি একটি বারের জন্য পরিনতি পায়।
একে একে কাটতে থাকে প্রহরের পর প্রহর,
সেকেন্ড এর কাটাও যেন মহাকালকে হার মানিয়ে দেবে মুহূর্তে,
ভাবনা যাতনা আর যন্ত্রণারা পাশাপাশি মুখ চাওয়া চাওয়ি করছে,
আকাঙ্ক্ষা একটাই, যদি এক লাইন ও কাব্য লেখা হয়,
শতকোটি প্রণয় কিংবা বিরহের গান বেজে গেলেও
অসমাপ্ত কবিতার আর পরিনতি হয় না,
দিন শেষে অস্ত যাওয়া সূর্যের মত সে মৃত্যুবরণ করে।