এক রাতে রাজিব অফিস থেকে দেরিতে বাসায় ফিরছিলো। রাস্তার ধারে সে দেখতে পেল এক অদ্ভুত ছায়া—মানুষের মতো, কিন্তু ঝাপসা ও বিশ্রী, কোনো শব্দ ছাড়াই ঘুরছিলো যেন কোনো অভিশপ্ত আত্মা। ছায়াটি বারবার অদৃশ্য হয়ে যেতো আর বিকৃত ফিসফিস শব্দ করতো, কিন্তু রাজিব কিছু শুনতে পেতো না। পরদিন ঘরে ঢোকার সময় রাজিব তার দরজার নীচে ছোট ছোট ভেজা পায়ের ছাপ দেখতে পেল—অথচ কেউ ঘরে ঢুকেনি! দিনের আলোতে তা অদৃশ্য হয়, রাত হলে আবার ভেসে ওঠে। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছায়ার উপস্থিতি বাড়তে থাকে, রাজিব ভয় পেতে শুরু করে। এক রাতে সে সাহস করে ছায়ার সামনে যায়। ছায়াটি বিকৃত হাসি ফোটায়, যা ভেতর থেকে রক্ত জমাট করে দেয়, তারপর অদৃশ্য হয়ে যায়। স্থানীয়রা বলেছিলো, এক পুরনো স্কুলের ছাত্র হারিয়ে গিয়েছিলো আর তার অভিশপ্ত ছায়া আজও ওই রাস্তার পাশে ঘুরে বেড়ে।