শীতের শেষ দিকের একটা বিকেল। কুয়াশা তখনও রাস্তায় লেগে আছে, সূর্য যেন ক্লান্ত হয়ে আলো দিতে ভুলে গেছে। ঢাকার পুরান এক গলির ভেতরে, একটা পুরনো ডাকবাক্সের কাছে দাঁড়িয়ে ছিল এক তরুণ—আরাফ। হাতে একটা চিঠি, যার কাগজটা সামান্য হলুদ হয়ে গেছে, যেন অনেকদিন ধরে তার বুকের ভেতরে রাখা ছিল।
এই চিঠিটা সে লিখেছে তার প্রিয় মানুষকে—মায়াকে। কিন্তু মায়া এই শহরে নেই, এমনকি এই দেশে নেই। যাওয়ার আগে মায়া শুধু বলেছিল,
"আমাকে ভুলে যেও না। কিন্তু যদি ভুলে যাও, দোষ দেব না।"
আরাফ কখনো ভুলতে পারেনি।
চিঠির ভেতরে ছিল কিছু কথা, যা সে মুখে বলতে পারেনি—
"তুমি যখন প্রথম আমার নাম ধরে ডাকলে, মনে হয়েছিল আমি এই পৃথিবীর সবচেয়ে ভাগ্যবান মানুষ। তুমি যখন হাসলে, মনে হয়েছিল শহরের সব বাতি জ্বলে উঠেছে। কিন্তু তোমাকে ভালোবাসা আমার জীবনের সবচেয়ে বড় সাহস, আর তোমাকে হারানো সবচেয়ে বড় পরাজয়।"
আরাফ জানতো, চিঠি পাঠালেও উত্তর আসবে না। তবুও সে চিঠিটা ডাকবাক্সে ফেলল।
ফেলার সময় হঠাৎ মনে হলো, পেছন থেকে কেউ তার নাম ধরে ডাকছে। সে ঘুরে তাকাল—শূন্য রাস্তা, শুধু হালকা কুয়াশা ভেসে বেড়াচ্ছে। তবু তার মনে হলো, সেই ডাকের ভেতরে মায়ার গলার স্বর লুকিয়ে ছিল।
চিঠি চলে গেল, কিন্তু মায়া কি কখনো পড়বে?
শুধু বাতাসই জানে।ভালো লাগলে কমেন্ট করে উৎসাহিত করতে পারেন জানাতে পারেন আপনার মূলবান মন্তব্য