বুকার পুরস্কার বিজয়ী উপন্যাস ‘লাইফ অফ পাই’ এর লেখক ইয়ান মার্টেলের একটি নতুন উপন্যাস ২০২৬ সালে প্রকাশিত হবে বলে জানা গেছে। মার্কিন সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন পিপল এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বইটি হবে এক দশকের মধ্যে তার লেখা প্রথম উপন্যাস।
'সন অব নোবডি' নামের উপন্যাসটি প্রকাশ করবে ডব্লিউ.ডব্লিউ. নর্টন এন্ড কোম্পানি। এই বইতে আধুনিক যুগের কানাডিয়ান শিক্ষাবিদ হার্লো ডোন একজন প্রাচীন যুগের সৈনিকের মাধ্যমে ট্রোজান যুদ্ধের কাহিনীর পুনরালোচনা করেছেন। এতে ঐতিহ্যবাহী মহাকাব্যের রাজকীয় দৃষ্টিভঙ্গিকে উল্টে দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, অতীত কখনও শেষ হয় না, সর্বদা এটির পুনরাবৃত্তি ঘটে।
‘সন অব নোবডি’ উপন্যাসের সিনোপসিসে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রাচীন গ্রীক কবি হোমারের ইলিয়াড এবং ওডিসি ট্রোজান যুদ্ধের একমাত্র কাহিনী ছিল না। এই বইয়ে ইয়ান মার্টেল একটি নতুন কিংবদন্তি রচনা করেছেন। এতে একজন রাখালের ছেলের গল্প বলা হয়েছে, যিনি একজন বীর যোদ্ধা ছিলেন। তিনি তার স্ত্রী এবং পরিবারকে রেখে ট্রয়ের যুদ্ধে যান। অতঃপর হাজার হাজার বছর পরে অক্সফোর্ডে অধ্যয়নরত হার্লো ডোন একটি মহাকাব্য আবিষ্কার করেন। এতে তিনি প্রাচীন ওই যোদ্ধার কথা জানতে পারেন।
এদিকে ইয়ান মার্টেল পিপল ম্যাগাজিনকে বলেছেন, “নতুন উপন্যাসের ক্ষেত্রে আমার অনুপ্রেরণা ছিল হোমারের ইলিয়াড, যা এখনও একটি সম্পূর্ণ আধুনিক কাজ। এছাড়া 'সন অব নোবডি' উপন্যাসটি স্যামুয়েল বেকেটের ‘ওয়েটিং ফর গডো’ এবং এরিক মারিয়া রেমার্কের ‘অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট’ এর একটি মিশ্রণও বলা যেতে পারে।”
কানাডিয়ান লেখক ইয়ান মার্টেল ১৯৯৩ সালে ‘দ্য ফ্যাক্টস বিহাইন্ড দ্য হেলসিঙ্কি রোকাম্যাটিওস’ নামের ছোটগল্প সংকলনের মাধ্যমে সাহিত্যে জগতে আত্মপ্রকাশ করেন। বইটি ২০০৪ সালে পুনঃপ্রকাশিত হয়। এরপর তিনি ২০০৬ সালে ‘সেল্ফ’ নামের একটি উপন্যাস প্রকাশ করেন।
তার ‘লাইফ অফ পাই’ উপন্যাসে লাইফবোটে আটকে পড়া একজন ভারতীয় বালকের গল্প বলা হয়েছে। নৌকায় তার সঙ্গে বাঘ, ওরাংওটাংসহ প্রাণীদের একটি দল ছিল। ২০০১ সালে প্রকাশিত এই বইটি বুকার প্রাইজ জিতেছিল। এরপর ২০১২ সালে চীনা চলচ্চিত্র নির্মাতা অ্যাং লি এই উপন্যাস অবলম্বনে একই নামের একটি সিনেমা তৈরি করেন।
উল্লেখ্য, ‘সন অব নোবডি’ ২০২৬ সালের ৩১ মার্চ প্রকাশিত হবে।