রায়হান আর মেহজাবিনের বিয়ে হলো শীতের এক সকালে।
বিয়ের আগের কয়েক মাসে তাদের মধ্যে বেশি কথা হয়নি, কারণ এটা ছিল পারিবারিকভাবে ঠিক করা বিয়ে। তবে দু’জনেই ভদ্র, নম্র—এবং ভেতরে ভেতরে কেমন জানি এক ধরণের কৌতূহল ছিল একে অপরকে নিয়ে।
নতুন শুরু
বিয়ের প্রথম দিন মেহজাবিন খুব লাজুক হয়ে ছিল। নতুন শ্বশুরবাড়ি, নতুন মানুষ—সব কিছু অপরিচিত। রায়হান প্রথম রাতেই বলল—
> “তুমি ভয় পেও না, এই বাড়ি তোমারও যেমন আমার।”
সেই মুহূর্তে মেহজাবিনের চোখে পানি চলে এল, কিন্তু সেটা আনন্দের।
প্রথম ছোট ঝগড়া
বিয়ের পর দুই মাসের মাথায় প্রথম ঝগড়া হলো—একেবারে ছোট্ট কারণে। মেহজাবিন রান্নায় লবণ বেশি দিয়ে ফেলেছিল, আর রায়হান হালকা হাসি দিয়ে বলেছিল—
> “আজকে মনে হয় লবণ একটু বেশি হয়েছে।”
কিন্তু মেহজাবিন ভেবেছিল সে হয়তো রাগ করছে, তাই মন খারাপ করে চুপচাপ ছিল। পরে রায়হান ফুল নিয়ে এসে বলল—
> “আমার বউ যদি রাগ করে তবে তো খাবারের স্বাদই নষ্ট হয়ে যাবে।”
অভ্যাস বদলানো
রায়হান আগে রাতে দেরি করে ঘুমাতো, কিন্তু দেখল মেহজাবিন সকাল সকাল উঠে যায়। ধীরে ধীরে সে-ও ভোরে ওঠা শুরু করল। আর মেহজাবিন আগে কখনো চা খেত না, কিন্তু রায়হানের সঙ্গ দিতে দিতে চা-প্রেমী হয়ে গেল।
প্রথম ঈদ
প্রথম ঈদে তারা একসাথে বাজারে গেল, নতুন কাপড় কিনল। মেহজাবিন শাড়ি বেছে দিচ্ছিল রায়হানের জন্য পাঞ্জাবি, আর রায়হান তার জন্য রঙ মেলানো ওড়না কিনল। তখন তারা বুঝল—বিয়ের আসল আনন্দ হচ্ছে একে অপরের ছোট ছোট খুশি ভাগাভাগি করা।
শেষ কথা
বিয়ের প্রথম বছর শেষে তারা বুঝল, বিয়ে মানে শুধু ভালোবাসা নয়, বরং ধৈর্য, সম্মান আর প্রতিদিন একটু একটু করে একে অপরকে বোঝা।
প্রতিদিনের হাসি, দুঃখ, ছোট ঝগড়া আর মিল—সব মিলিয়ে এক সুন্দর সংসারের গল্প গড়ে ওঠে।