Posts

গল্প

রহস্যে ঘেরা ফয়েজ লেক

August 13, 2025

News AffairsWorld

162
View

পাহাড়তলী রেলস্টেশনের দক্ষিণ কোল ঘেঁষে আরেকটি কৃত্রিম হ্রদ রয়েছে। ফয়েজ হ্রদ তৈরির পূর্বে আসাম বেঙ্গল রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ১৯২০ সালে এটি খনন করে। দুটি হ্রদই আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে দেশি-বিদেশি পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয়। চট্টগ্রাম শহরের ব্যাপক এলাকায় বিশেষ করে নিকটবর্তী রেলওয়ে কলোনিতে পানি সরবরাহের জন্য এই জলাধার দুটি খনন হয়েছিলো।

হ্রদটিকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ নির্মাণ প্রতিষ্ঠান কনকর্ড ফয়েজ লেক কনকর্ড নামে একটি বিনোদন উদ্যান স্থাপন করে, যেখানে দর্শনার্থীদের জন্য হ্রদে নৌকাভ্রমণ, রেস্তোরাঁ, ট্র্যাকিং এবং কনসার্ট এর আয়োজন করা হয়ে থাকে। বর্তমানে এখানে বিরল প্রজাতির পাখি এবং হরিণ পার্কে হরিণ দেখার ব্যবস্থা আছে। ফয়েজ হ্রদের পাশেই অবস্থিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানা। এছাড়াও দর্শনার্থীরা কটেজ ভাড়া করে থাকতে পারেন। ফয়েজ হ্রদের আশেপাশের মনোরম পরিবেশ এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের আকর্ষণে প্রতি বছর দেশি বিদেশি বহু পর্যটক ছুটে আসেন।

চট্রগ্রামের ফয়েজ লেক দিনের বেলা আনন্দ আর উৎসবের এলাকা হলেও রাতের বেলা ১টি ভৌতিক জায়গাতে পরিণত হয়।। লেকের ১টা সাইড আছে যেখানে বোট নিয়ে যাওয়া নিষেধ। সেখানে ১টা ওয়ার্নিং বোর্ডও লাগানো আছে।। শোনা যায় যে, ঐ সাইডটাতে একটা পাথরের দ্বীপ আছে এবং একবার কেউ ওইপাশে চলে গেলে সে আর সহজে পথ খুঁজে পায় না।। অনেকেই দূর থেকে ঐ দ্বীপটাতে একটা মেয়েকে ঘুরে বেড়াতে দেখেছে। বিভিন্ন জনের বর্ণনা থেকে জানা যায়,মেয়েটা একটা সাদা জামা পড়ে থাকে, তার চুল ছাড়া থাকে, এবং লক্ষ্য করলে বুঝা যায় কোনও কারণে তার মন বিষণ্ণ।। এ ছাড়াও ফয়েজ লেকের ভেতর কিছু বড় বড় মূর্তি আছে যে গুলোর মাথায় মাগরিবের আজানের সময় কালো চাদরে জড়ানো এক বৃদ্ধ মহিলাকে বসে থাকতে দেখা যায়।। ফয়েজ লেকের পানিতে ডুবে বছরে প্রায় ৪-৫ জন মানুষ মারা যায়।। এছাড়াও ঐ জায়গার স্থানীয় অনেকেই গভীর রাতে লেক সংলগ্ন এলাকার আসে পাশে জান্তব চিৎকার শুনতে পায় এবং অদ্ভুত সাদা আলো দেখে।

Comments

    Please login to post comment. Login