ইথান প্রতিদিন অফিসে যাওয়ার আগে একই ছোট্ট কফিশপে যেত। কফি খুব ভালো বলে নয়—বরং সেই মেয়েটির জন্য, যে সবসময় কোণের টেবিলে বসে নিজের নোটবুকে ছবি আঁকত।
সপ্তাহের পর সপ্তাহ কেটে গেল, কিন্তু তাদের মধ্যে শুধু ভদ্রতাসূচক হাসিই বিনিময় হতো। ইথান নিজের ব্ল্যাক কফি অর্ডার করত, আর মেয়েটি চুমুক দিত তার ক্যাপুচিনোতে। মাঝে মাঝে তারা একে অপরের দিকে তাকাত, আবার চট করে চোখ ফিরিয়ে নিত।
এক বৃষ্টির সকালে, মেয়েটি আর সেখানে নেই। তার কোণের টেবিল খালি—শুধু পড়ে আছে অর্ধেক খাওয়া এক কাপ ক্যাপুচিনো আর একটা ছোট নোটবুক। ইথান দ্বিধায় পড়ল, তারপর বারিস্টাকে জিজ্ঞেস করল—
— “আপনি জানেন সে কোথায় গেল?”
বারিস্টা কাঁধ ঝাঁকালো। “তাড়াহুড়ো করে চলে গেল। বলল হয়তো কিছুদিন আসবে না।”
ইথান নোটবুকটি খুলল। ভেতরে নানা আঁকিবুকি—রাস্তা, ফুল, অচেনা মুখ… আর শেষ পাতায় তার নিজের ছবি, নিচে ছোট্ট একটা বাক্য লেখা—
“ভাবছি, সে কি কোনোদিন আমাকে হ্যালো বলবে?”
পরের দিন ইথান স্বাভাবিকের চেয়ে আগে কফিশপে এল, আশা করল মেয়েটি হয়তো ফিরবে। এল না। কয়েকদিন কেটে গেল। তারপর একদিন সকালে, যখন সে বেরিয়ে যাচ্ছিল, হঠাৎ দরজার ঘণ্টা বেজে উঠল। মেয়েটি ঢুকল—চুলে হালকা বৃষ্টির জল।
ইথান দাঁড়িয়ে হাসল—
— “হাই। মনে হয় তুমি কিছু ভুলে গেছো।”
মেয়েটি হাসল, তার হাত থেকে নোটবুকটা নিয়ে বলল—
— “অথবা হয়তো ইচ্ছে করেই রেখে গিয়েছিলাম।”
সেই সকালেই প্রথমবার ইথান তার কফি শেষ করতে পারেনি।