অনেক রাত সবাই ঘুমিয়ে পড়েছে। নগেন্দ্রনাথ এখনো ঘুমোয়নি। ঘুম আসছিলো না। স্ত্রী দেবীকা কে জিজ্ঞেস করে
-- শোন?
-- বলো কি বলতে চাও?
-- বলছিলাম কি, মিনুর উপর তো তুমি কাল রাগ করলে কিন্তু আমার একটা সন্দেহ হচ্ছে জানো?
-- তুমি কি বলোনা। মেয়ে মানুষ মেয়ে মানুষের মতো গড়ে না উঠে যদি পুরুষের মতো চলতে চায়, পড়ে ওরই বিপদ হবে। পৃথিবীতে বাবা মা চিরদিন থাকে না। ওরা তো বেঁচে থাকবে। ভুল করে খেশারত দিতে দিতে জীবন চলে যাবে। তখোন বাবা মা দোষ হবে ঠিক শিক্ষা দেয়নাই বলে।
-- কথা গুলো তো তুমি ঠিকই বললে দেবীকা। কিন্তু আমি যে কথা তোমাকে বলতে চাইছি সে কথা তুমি শুনলে না।
-- বলো, বলো তুমি বলো- তোমার কথা শুনবো বলেই তো চোখে ঘুম এসে গেছিলো আবার ঘুম ছেড়ে গেল।
--- বলছিলাম কি কাল যে রাগের মাথায় মিনু হিমুকে নীলান্জনা নামে একটি মেয়ের নাম বললো? ওই মেয়ের সন্ধান আমি পেয়ে গেছি।
-- পেয়ে গেছো মানে? কার মেয়ে দেখতে কেমন? সুন্দর ফর্শা নাকি?
-- আগে শুনবে তো।আগেই মেয়ের বর্ণনা জিজ্ঞেস করা শুরু করে দিলে।
-- আচ্ছা তুমিই বলো আমি শুনছি।
-- নীলান্জনা হলো আমার হিমুর সাথে পড়ে
চলবে