দেবীকাকে সাথে নিয়ে বিকেলে নগেন্দ্রনাথ বেড়াতে যায় মধুপুর। ঈশ্বর চন্দ্রর বাড়িতে। বাড়ির দূর থেকে নীলান্জনা দেখে কারা যেন এদিকে আসছে তাকিয়ে থাকে। দেখতে দেখতে নীলান্জনাদের বাড়ি ঢুকে পড়ে। নীলান্জনা নগেন্দ্রনাথ কে দেখেই চিনে ফেলে। ইনিই তো সে দিন হিমুর রিকশায় বসা ছিলো। তাহলে উনি কে হতে পারে ভাবতে থাকে। নগেন্দ্রনাথ কে দেখেই ঘর থেকে বেড় হয়ে আসে ঈশ্বর চন্দ্র উঠোনে নেমে নগেন্দ্রনাথের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করে। বললো কেমন আছেন স্যার? নগেন্দ্রনাথ বললো এই মোটামুটি। আপনি কষ্ট করে এসেছেন। আমিই ভাবছিলাম যাবো আপনার সাথে দেখা করতে। ঈশ্বর চন্দ্র ব্যস্ত হয়ে এই নীলা মা এদিকে আয়। স্ত্রী প্রমীলা কে ডাকে কই গেলে গো এসো দেখে যাও কে এসেছে। প্রমীলা বাইরে থেকে এসে নগেন্দ্রনাথের চরণে প্রণাম করে। মেয়ে নীলাকে বলে নীলা স্যারকে প্রণাম করে। দেবীকা আর্শীবাদ করে দীর্ঘ জীবী হও মা। নগেন্দ্রনাথ ও নীলাকে আর্শীবাদ করে আয়ুশ্মান ভব। ঈশ্বর চন্দ্র নগেন্দ্রনাথ কে ধরে ঘরের ভিতরে নিয়ে যায়। নগেন্দ্রনাথ ঈশ্বর চন্দ্র কে জিজ্ঞেস করে ঈশ্বর তোমার সাথে অনেক দিন দেখা করবো করবো করেও আসতে পারিনা। ঈশ্বর চন্দ্র বললো স্যার আমিও তো অনেক
দিন ধরে শুধু ভাবি যাবো যাবো আর হয়ে ওঠেনা। চলবে