নগেন্দ্রনাথ নাথকে বড় ঘরে বসতে দিলো ঈশ্বর চন্দ্র।
দেবীকা তার স্ত্রী শাউনির কাছে অন্য ঘরে গিয়ে পুরোন গল্প শুরু করে দিলো। ঈশ্বর চন্দ্র স্ত্রী শাউনিকে ডেকে বলে
-- শাউনি নীলান্জনা কোথায়?
-- ওই ঘরে আছে।
-- ওকে ডাকো।
-- নীলা৷ এই নীলা।
নীলান্জনা নিজের রুম থেকে মার কাছে আসে।
-- মা ডাকছো?
-- হ্যাঁ। তুই একটা কাজ কর। স্যারদের খেতে দে।
-- আচ্ছা বলেই নীলান্জনা মুড়ি চিড়া মিষ্টি সাজিয়ে নগেন্দ্রনাথ কে জল খাবার দিলো। ঈশ্বর চন্দ্র বললো
-- ও আমার একমাত্র মেয়ে। ওর তো পড়া শেষ। এখন একটা ভালো ছেলে হলেই হয়। নগেন্দ্রনাথ বললো
--নীলা। ওর নাম তাহলে নীলা। খুব ভালো নাম।
ঈশ্বর চন্দ্র বললো
-- স্যার আপনি কি আমার খোঁজ জানেন না?
-- জানবো কি করে বলো ঈশ্বর। তুমি তো আমাকে খোঁজ নাওনি। তাই আমিও জানিনা জানিনা আপনি কোথায় থাকেন।
-- ঈশ্বর তোমার বাবা মা বেঁচে আছেন? আবেগঘোন হয়ে ঈশ্বর চন্দ্র বললেন
-- স্যার, বাবা হঠাৎ মারা গেলেন। বাবার মুখ থেকে একটা কথাও শুনতে পারলাম না। অনেক বছর পর বাবার হাতের ডায়েরিতে পাঁচ পৃষ্ঠা ব্যাপি আপনার সম্পর্কে লেখা। তাতে বাবা যা লিখেছে তাতে বুঝলাম আমার যা কিছু সবই আপনার জন্য। তাই আমি আপনাকে বহু জনের কাছে বহু যায়গায় খুঁজেছি পাইনি। যাক স্যার এখন যখন এসেছেন খো্জ পেয়েছেন আপনি আপনার সব কিচু বুঝে নেন।