আশিকা কলেজের ক্লাস থেকে বেরিয়ে আসছিল, হঠাৎ সে লক্ষ্য করল রাহুল তার দিকে অদ্ভুতভাবে তাকাচ্ছিল। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে সে ভাবল, “ও কি আমার দিকে রাগ করছে নাকি?” মনে হলো হয়তো রাহুল তার কোনো কথা ভুলভাবে বোঝেছে।
রাহুলও ঠিক একই ভাবছিল। তার মনে হচ্ছিল, “আশিকা নিশ্চয় আমাকে বিরক্ত হয়েছে ভাবছে।” এই ছোট ছোট ভুল বোঝাবুঝি তাদের মধ্যে দূরত্ব তৈরি করতে লাগল।
কিছুদিন পার হল, কিন্তু দুজনেই আর স্বাভাবিকভাবে কথা বলত পারছিল না। ক্লাসে একসাথে বসার সময়ও নীরবতা ছিল। আশিকার মনের ভিতর অদ্ভুত টান, রাহুলের মনের ভিতর অজানা দুঃখ—সব মিলিয়ে একটি ছোট ফাঁক তৈরি হয়ে গেল।
একদিন তাদের সাধারণ বন্ধু প্রিয়া মেসেজ করল:
“তোমরা দুজনই কি একে অপরকে ভুল বোঝছ? আজ দুপুরে চায়ের দোকানে আসো, কথা হবে।”
আশিকা আর রাহুল দুজনই প্রথমে দ্বিধা করেছিল। কিন্তু তারা দুজনই মেনে নিল। চায়ের দোকানে এসে তারা একে অপরের চোখের দিকে তাকাল। প্রিয়া শান্তভাবে বলল,
“শুধু কথা বলো, আর সব ক্লিয়ার হয়ে যাবে।”
আশিকা প্রথমে বলল, “আমি মনে করি তুমি আমার কথাকে ভুল বোঝেছিলে।”
রাহুল হেসে বলল, “আর আমি ভাবতাম তুমি আমাকে বিরক্ত করছো। কিন্তু এখন সব বোঝা গেল।”
হাসি-ঠাট্টার মধ্য দিয়ে তাদের মন একে অপরের কাছে নরম হয়ে গেল। সেই ছোট ভুল বোঝাবুঝি ধীরে ধীরে মধুর অনুভূতিতে বদলে গেল। তারা বুঝল, কখনও কখনও শুধু কথা বললেই সব সমস্যার সমাধান করা যায়।
এরপর থেকে তারা আরও কাছে এলো। তাদের বন্ধুত্ব শুধু বন্ধুত্বই থাকল না, ধীরে ধীরে ভালোবাসার রঙ নিল।