মিলন আর শ্রাবন্তী একে অপরকে জানে কলেজ জীবনের প্রথম দিন থেকেই। শুরুতে তারা শুধু বন্ধুর মতো—ক্লাসের নোট ভাগাভাগি, হালকা ঠাট্টা, আর কফি শপে সময় কাটানো।
কিন্তু ধীরে ধীরে বন্ধুত্বে জন্ম নিল একটি অদ্ভুত ঘনিষ্ঠতা। তারা একে অপরকে বুঝতে পারত এমনভাবে, যা অন্য কেউ বুঝত না।
একদিন মিলন শ্রাবন্তীর জন্য একটি ছোট উপহার নিয়ে এল—তার প্রিয় লেখকের একটি বই। শ্রাবন্তী অবাক হয়ে বলল,
“তুমি কি জানলে আমি এই বইটা পছন্দ করি?”
“হ্যাঁ, আমি লক্ষ্য করেছিলাম তুমি বারবার লাইব্রেরিতে এই বইটা দেখছ,” মিলন হেসে বলল।
তাদের মাঝে হেসে খেলা, ছোট ছোট আড্ডা—সব মিলিয়ে সম্পর্ক ধীরে ধীরে ঘন হয়ে গেল। কিন্তু দুজনেরই আর্থিক ও পারিবারিক কারণে কেউই সরাসরি ভালোবাসার কথা বলতে সাহস পেত না।
একদিন মিলন নিজেকে ধরে রাখতে পারল না। সে বলল,
“শ্রাবন্তী… আমি জানি আমরা অনেকদিন বন্ধু ছিলাম। কিন্তু আমি বুঝতে পেরেছি, আমি তোমাকে শুধু বন্ধু হিসেবে চাই না। আমি চাই তুমি আমার জীবনের অংশ হও।”
শ্রাবন্তী প্রথমে চমকে গেল। সে কিছুক্ষণ নীরব থাকল। তারপর ধীরে ধীরে হাসল এবং বলল,
“আমি ও ঠিক তেমনই অনুভব করি, মিলন। তবে আমি ভাবতেছি, আমাদের ধীরে ধীরে সবটা বুঝে নেওয়া উচিত।”
এরপর থেকে তাদের সম্পর্ক শুধুই বন্ধুত্ব নয়, প্রেমে রূপ নিল। ছোট ছোট মুহূর্ত—একসাথে পড়া, হেসে খেলা, একে অপরের পাশে থাকা—সবকিছুই তাদের হৃদয়কে আরও গভীরভাবে সংযুক্ত করল।
বন্ধুত্ব থেকে প্রেমের এই যাত্রা তাদের জীবনে নতুন রঙ নিয়ে এলো। তারা বুঝল—কখনও কখনও সবচেয়ে সুন্দর প্রেম শুরু হয় বন্ধুত্বের ছোট্ট স্পর্শ থেকে।