১. জেল থেকে জামিন, প্রেমের আমন্ত্রণ
চিমটি আলী জেলখানায় বসে "বিয়ের ব্যর্থতা" নিয়ে আফসোস করছিল। তবে ভাগ্যের মারপ্যাঁচে তার ভাইরাল ভিডিও দেখে ঢাকার কাওরান বাজারে বসবাসকারী এক “উদ্যোক্তা মহিলা” রোজি খাতুন তার প্রতি মুগ্ধ হয়ে যায়।
রোজির ভাষায়:
“চোর বলেই কি তার প্রেমের অধিকার নাই? আমি তাকে বিয়ে করবোই করবো!”
রোজি আসলেই এক বাঘিনী! সে নিজের ভুয়া এনজিও অফিস থেকে চিঠি পাঠায় জেল কর্তৃপক্ষের কাছে, পরিচয় দেয় আইনজীবী হিসেবে। নাটকীয়ভাবে চিমটির জামিন হয়!
জেল থেকে বেরিয়ে চিমটি বলে:
“আপনার নাম কি, মালিক?”
রোজি চোখ টিপে বলে:
“তোমার জীবনের সিকিউরিটি ক্যামেরা – রোজি!”
২. বিয়েটা এইবার সত্যি হলো!
তাদের বিয়ে হয় ঢাকার একটা ছোট কমিউনিটি সেন্টারে। তবে এটিও খুব "অভিনব" এক আয়োজন।
ডেকোরেশন: প্লাস্টিক ফুল, ঝুলন্ত মোবাইল ফোন, পুরোনো টিভির কেসিংয়ে "WELCOME" লিখে ঝুলানো।
খাবার: খিচুড়ি, ডিমের হাফ স্লাইস আর কোকের বদলে নারকেলের পানি।
বিয়ের গিফট: কেউ দেয় লক ভাঙার যন্ত্র, কেউ পুরোনো সিমকার্ড!
রোজির মা বলে:
“দুইটা হীরার মিলন আজ হলো!”
আর চিমটির চাচা বলে:
“এই বিয়ে থেকে পুলিশ স্টেশন বাঁচবে না!”
৩. চোরের সংসার = ফান+ফাঁস
বিয়ের পর চিমটি ভাবছিল এক কাপ চা, একটু আদর, আর একটা শান্তিপূর্ণ সকাল আসবে। কিন্তু সকাল হতেই রোজি বলে:
“চিমু, বাসায় বসে থাকলে হবে না, ফেসবুক মার্কেটিং শিখো, চুরি আপডেটেড হও!”
চিমটি ভয় পেয়ে জিজ্ঞেস করে:
“তুমি কি চোর?”
রোজি উত্তর দেয়:
“আমি চোর না, আমি চুরির মায়েস্ট্রো!”
সেইদিন সন্ধ্যায় চিমটি দেখে রোজি পাঁচটা মোবাইল ফোন নিয়ে বাসায় ঢুকছে। সাথে এক ব্যাগ সিমকার্ড।
চিমটি অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করে:
“এইসব কোথা থেকে?”
রোজি গম্ভীর মুখে উত্তর দেয়:
“সব সেলফি জোন থেকে আয় করা!”
৪. চুরি শেখার কোচিং: "My Dear Chor Academy"
রোজি একদিন ঘোষণা দিলো:
“এবার আমরা খুলবো স্কুল – চুরি শেখানোর স্কুল!”
চিমটি তো আঁতকে উঠে, কিন্তু কিছু বলতে পারে না।
তারা খুলে ফেলে এক কোচিং সেন্টার —
“My Dear Chor Academy”
স্লোগান দেয়:
"চুরি শেখো, কানে ফোন রেখে পালাও!"
কোর্স অফার:
পত্রিকার নিচে টাকা লুকানো
ফেসবুকে ‘আত্মা বাঁচাও’ টাইপ পোস্ট দিয়ে বিকাশ চাওয়া
কিভাবে বিবাহ অনুষ্ঠানে গিয়ে জামাই সেজে খাওয়া যায়
ATM বুথের পাশে দাঁড়িয়ে “ভাই, হেল্প করেন” বলে টাকা নেওয়া
রোজি ক্লাস নেন, চিমটি দেখভাল করে।
৫. চিমটি এখন ইউটিউবার!
রোজি বলে:
“চুরি শুধু চুরি না, এটা একটা স্কিল। স্কিল শেয়ার করলে টাকা আসে।”
তারা খুলে ফেলে ইউটিউব চ্যানেল —
“চোর টিউব”
ভিডিও আসে:
“৩ মিনিটে কলবেল ছাড়ানো”
“চায়ের দোকান থেকে ২টা ডিম ফ্রি পাওয়ার কৌশল”
“ফেক প্রেমিক সেজে বিকাশে ৫০০ তোলা টেকনিক”
চিমটি রাতদিন ভিডিও বানায়, চোর একাডেমির ছেলেরা কমেন্ট করে:
“স্যার আপনি বেস্ট!”
“লাইভ ক্লাস চাই!”
ভিডিওগুলো ভাইরাল হয়। সরকার বাধ্য হয় নজর রাখতে।
৬. কপালে কলঙ্ক, ধরা খেল চোর-দম্পতি!
একদিন তারা লাইভে এক বিয়ে বাড়িতে ঢুকে "শিক্ষামূলক চুরি" দেখাচ্ছিল।
রোজি গলা চড়িয়ে বলে:
“বন্ধুরা, এইভাবে পোলাও চুরি করে খাও! ভিডিওটা শেয়ার দাও!”
কিন্তু দুর্ভাগ্য! বিয়ের পাত্রের খালা একজন সাব-ইন্সপেক্টর।
তিনি দেখে চিনে ফেলেন রোজিকে।
থানা থেকে ডাইরেক্ট ৩ টা পুলিশ ভ্যান আসে।
চিমটি আর রোজি পালাতে গিয়ে বউ-ভর্তি বাসায় গিয়ে ঢুকে। কিন্তু বাসাটা ছিল পুলিশ কর্মকর্তার!
সেখান থেকে দুজন ধরা পড়ে।
৭. জেলখানায় নতুন জীবন
তাদের ছবি ছাপা হয় পত্রিকায়:
"স্বামী-স্ত্রী চোর! নিজেরাই কোচিং চালাতো!"
জেলখানায় তারা একসাথে।
রোজি এখন কয়েদি নম্বর ১০৮, চিমটি ১০৭।
তাদের একসাথে বন্দি করা হয়েছে “বিশেষ হাস্যকর চোর দম্পতি” হিসেবে।
তবে তারা বসে নেই। জেলেও রোজি বলছে:
“আমাদের ‘জেল টিউব’ খুলবো – কয়েদিরা শেখে কীভাবে দুঃখে হেসে বাঁচে!”
চিমটি হাসে, গুনগুন করে:
“জেল হলো আমার বেডরুম, রোজি হলো রুমমেট!”
শেষ:
চিমটি ও রোজির বিয়ে হয়েছে, কিন্তু বিয়েটা ছিল চুরির চেয়েও ভয়ংকর মিশন!
তাদের প্রেম, পাগলামি, আর কোচিং স্কুল – সব মিলিয়ে এক ভয়াবহ হাসির উপন্যাস