ঘুমহীন প্রহরী দাঁড়িয়ে থাকে,
কোলাহলকে পেছনে ফেলে।
যেন প্রতিবাদে মুখর হয়ে,
শেষে নীরবতায় সুর মিশে।
যেভাবে হঠাৎ দূরপাল্লার বাসের হর্ন
ট্রাম্পেটের মতো তীক্ষ্ণ আওয়াজ তুলে
নিস্তব্ধ হাইওয়েতে হারিয়ে যায়।
কপটতার কার্পেট বিছানো করিডোরে,
জাদুঘরের কাচঘেরা স্পটলাইটে বন্দি আত্মমুগ্ধতা।
নির্ভুল রিহার্স করা আত্মতৃপ্তির দৃশ্যপট,
সিনেমার শেষ দৃশ্যের মতো ধোঁয়াটে।
আলোছায়ায় মিথ্যার গহ্বর থেকে উঠে আসে
পাথরের মতো নির্লিপ্ত মুখ, কেবল মুখোশ।
দর্শকহীন প্রেক্ষাগৃহে মুহুর্মুহু প্রিরেকর্ডেড করতালির শব্দ।
দিন শেষে কালকূটের বিষে মিইয়ে পড়ি,
রাত কাটে বুকের মাঝে চাপা এক অদ্ভুত ভার নিয়ে।
যেখান থেকে ঝরে পড়ে জীবনের পরিশ্রান্ত নিঃশ্বাস।
আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে চেহারা চিনলেও, চিনে উঠি না নিজেকে...
আজ রাতের আকাশ বিদ্বেষপূর্ণ।
ক্ষমার প্রয়োজন নেই এই ভাঙা পৃথিবীর জন্য।
যারা বাঁচে, তারা বোঝে না বেঁচে থাকা,
আর যারা বোঝে, তারা বাঁচে না দীর্ঘদিন।
