বন্দরের চতুর খেলা
এক গ্রামের নাম ছিল চঞ্চলা। গ্রামটা শান্ত, সবুজ বাগান আর ছোট ছোট নদীর মাঝে গড়ে উঠেছিল। কিন্তু গ্রামের পাশের বনেই বাস করত একটি দুষ্টু এবং চতুর বানর, নাম বাবলু। বাবলু শুধু দুষ্টু নয়, খুবই চালাকও ছিল। সে মানুষের চপলতা আর মজার জিনিস নিয়ে খেলা করতে ভালোবাসত।
একদিন গ্রামের বড় মেলা হলো। মেলার মধ্যে ছিল নানা দোকান—মিষ্টি, খেলনা, ফুলের মালা। গ্রামের ছোট ছেলে রাফি তার ছোট বোনের সঙ্গে মেলার আনন্দ উপভোগ করছিল। হঠাৎ বাবলু দেখতে পেল মিষ্টির দোকান। তার চোখে চকচকে মিষ্টি ঝলমল করছিল। বাবলুর মাথায় এক দুষ্টু ভাব এল।
তিনি হঠাৎই দৌড়ে দোকানের দিকে গেল এবং এক টিফিন মিষ্টি চুরি করে নিজের মাথায় টুপি মতো বসিয়ে দৌড়াতে শুরু করল। রাফি চিৎকার করে বলল, “ওই! আমার মিষ্টি কোথায় গেল?” গ্রামের মানুষ হেসে হেসে দেখছিল বাবলুর দুষ্টুমি।
বাবলু দৌড়াতে দৌড়াতে গ্রামের ছোট খাল পার হলো, গাছের ডালে ঝুলে খেলা করল। কিন্তু হঠাৎ সে হঠমাথা পড়ে গেল। রাফি তার কাছে ছুটে এসে বাবলুর হাতে হাত রেখে বলল, “ঠিক আছে, তুমি চালাক, কিন্তু দুষ্টুমি করতে হলে আমাকে বলো!” বাবলু রাফির দিকে তাকাল, যেন বলছে, “ঠিক আছে, চুক্তি।”
সেদিন থেকে বাবলু আর রাফি বন্ধু হয়ে গেল। মেলায় আর কোনো দুষ্টুমি না হলেও, বাবলু নতুন নতুন কৌশল শেখার জন্য সব সময় রাফির সঙ্গে মজা করত। গ্রামবাসীরাও বাবলুকে মজা করে “চতুর বাবলু” বলত।
গল্পের শেষ শিক্ষা: যদি আমরা অন্যের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখি, তাহলে দুষ্টুমি বা ভুলের মধ্যেও বন্ধুত্ব আর হাসি খুঁজে পাওয়া যায়।