Posts

গল্প

কন্টক সজ্জা- চতুর্থ ও শেষ পর্ব

August 26, 2025

Rezwana Roji

224
View

প্রায় সন্ধ্যা হতে চলল কিন্তু নিহার ফোনে কোন ফোন বা এসএমএস এলো না , 

নিহা বারবার ফোনের দিকে তাকালো ভাবলো আতিক মনে হয় ওর ভুলটা বুঝতে পেরে ফোন দিবে, কিন্তু না কোন ফোন বা এসএমএস নাই ।

এদিকে দিনের আলো নিভে আসছে, সন্ধ্যাযর পর একা ক্যাম্পাসে থাকা নিরাপদ নয়, তাই নিহা এবার উঠে লেকের পানিতে হাত মুখ পরিষ্কার করে ঘরে ফিরল ,তাকে ভীষণ বিধ্বস্ত দেখাচ্ছে,

এই অবস্থা দেখে রেনু জিজ্ঞেস করল কি হয়েছে তোর ? মুখ চোখের একি অবস্থা? কিন্তু নিহা কোন উত্তর করল না সোজা গিয়ে শুয়ে পড়লো।

রেনু আবার প্রশ্ন করল কোথায় ছিলি সারাদিন ?এবারও কোন উত্তর করল না চুপচাপ শুয়ে আছে সে, 

রাত বাড়ছে অথচ নিহার কোন সারা শব্দ নেই ,রাতের খাবারের কথা ভুলে গিয়েছে মেয়েটা।

 রেনু, এবার নিহার গায়ে হাত দিয়ে ডাকতে যাবে এমন সময় দেখে জ্বরে গা,পুড়ে যাচ্ছে মেয়েটার। রেনু জোর করে কিছু খাবার খাইয়ে দিয়ে ওষুধ খাইয়ে দিলো, কিন্তু তাতে তেমন কোন লাভ হলো না।

সারাটা রাত জ্বরে ছটফট করল নিহা, আসলে মনের ক্ষত কি আর ওষুধে কাজ হয়?

অথচ এদিকে আতিকের কোন চিন্তাই নেই, একটা মেয়ে যে কতটা কষ্ট পেতে পারে,তা তার ভাবনাতেই নেই,সে আছে নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত, 

পরদিন নিহাকে কলেজেও দেখা গেল না।

 আজ যে পরীক্ষা ছিল সেটাও ভুলে গেছে মেয়েটা।

 বারবার শুধু আতিক কে  ফোনে পাবার চেষ্টা করল, কিন্তু আতিক ফোনটা তুললোই না ।

তিনদিন পর আজ নিহা কলেজে গেল যদি আতিক এর একবার দেখা পাওয়া যায় ! কিন্তু কোথায় সে ?তার ছায়া পর্যন্ত চোখ এ পড়লো না ।অগত্যা ক্লাস করতে গেল সে,

ক্লাস এ স্যার ওকে ভীষণ অপমান করলো কারণ ঠিকমতো ক্লাস করে না ক্লাস পরীক্ষা দেয় না পড়াশোনা যেন ভুলতেই বসেছে সে, ক্লাস শেষে নিহা বেরিয়ে যাবে এমন সময় রাহাত বলল, একি অবস্থা নিহা তোমার ?বলে মুচকি হাসলো সে।

নিহার যেন লজ্জায় অপমানে মাটির সাথে মিশে যেতে ইচ্ছা করছে, নিহা নিজেকে সামলে নিয়ে সারাটা ক্যাম্পাস হন্যে হয়ে খুজলো আতিককে কিন্তু কোথাও পেল না বাড়ির গেটেও প্রায় সময় তালা দেয়া থাকে আজকাল

একদিন বিকেল বেলা রাহাত রিনি আর আতিক বসে আছে ,রিনি বললো নিহা তোকে খুব ভালোবাসেরে আতিক , আজ মেয়েটাকে দেখলাম খুব অসহায় লাগছিল মেয়েটাকে ,

কিন্তু আতিক কথাটা যেন কানেই তুললো না 

এদিকে নিহা ঘরে ফিরে সিদ্ধান্ত নিল ও আর কলেজে যাবে না কেমন যেন সবাই ওকে দেখলে হাসাহাসি করে কোন মুখে যাবে সবার সামনে? নিহা জানালার পাশে গিয়ে দাঁড়ালো তার করা ভুলগুলো এখন শুধু অশ্রুজল হয়ে গড়িয়ে পড়ে। সারাটা দিন জানলার গ্রিল ধরে বাইরে তাকিয়ে থাকে মেয়েটা।

এক শুক্রবার এর কথা এমনি নিহা জানালার পাশে দাঁড়িয়ে আছে এমন সময় আতিক সামনের রাস্তাটা দিয়ে হেটে গেল মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছে সে ,

আতিককে দেখে নিহার মনটা যেন  ভরে গেল, কতদিন পর আতিককে দেখছে সে,

তারপর থেকে প্রতি শুক্রবার সেই সময় জানালার পাশে দাঁড়িয়ে থাকে নিহা, যদি একটু আতিক এর দেখা মেলে কিন্তু আর আসে না আতিক সেই পথে, চোখ এর দেখা ও পায় না আর নিহা, ফোন তো রিসিভ করেই না,

দিন দিন শরীর মন দুটোই ভেঙ্গে পড়েছে নিহার কারণ কাছে থেকে না পাওয়ার ব্যথাটা যে আরো অনেক বেশি।

 নিহা ভাবল এবার আর এখানে থাকবে না সে কারণ দিন দিন ওর মনটা আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে আর শরীরের নিয়ন্ত্রণ মনের কাছেই থাকে মন যত বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ছে শরীরটাও যেন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ছে,

 তাই সে সিদ্ধান্ত নিল মায়ের কাছে গিয়ে কয়টা দিন থাকবে সে কাছে থেকে কষ্ট পাওয়ার চেয়ে দূরে গিয়ে থাকাটাই অনেক ভালো ।

আর মায়ের কাছে গেলে কষ্টটা অনেকটা কমবে সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে নিহা সকালেই বাড়ি যাবার জন্য বেরিয়ে  পরল যাবার আগে আতিক এর বাসার সামনে গিয়ে একটা কল করল নিহা, আতিক ঘুম ঘোরে রিসিভ করল ফোনটা ,রিসিভ করেই দেখে নিহা,,

 -কি সমস্যা তোমার ?

-একটু নিচে আসবে !

-কেন? 

-আমি বাড়ি চলে যাচ্ছি যাবার আগে একটাবার তোমার সাথে দেখা করে যেতাম, 

-আমার সাথে দেখা করতে হবে না বলে ফোনটা কেটে দিল আতিক 

নিহা অশ্রু সজল চোখ নিয়ে চলে গেল 

আতিকের কি যেন মনে হল নিহার জন্য মনের মধ্যে খারাপ লাগা শুরু হল কি যেন একটা টান অনুভব হলো মনের মধ্যে,

 সঙ্গে সঙ্গে বেরিয়ে এলো আতিক দরজা টা খুলতেই দেখে ছোট্ট একটা বাক্স রঙিন কাগজে মোড়ানো বাক্সটা হাতে নিয়ে বাইরের দিকে তাকালো ততক্ষণে নিহা চলে গেছে বাক্সটা খুলেই দেখে সেই আংটিটা যেটা আতিক পরিয়ে দিয়েছিল আর সেই শাড়িটা আর ছোট্ট একটা চিঠি আতিক,,,,,,

আমি চলে যাচ্ছি,, এই ঈট পাথরের শহরে আর কোনদিন ফিরবো না ,কারণ এখানকার মানুষের মন ইট পাথরের মতোই শক্ত ।আর হাজারো রঙের মাঝে নিজের মনটাকেই হারিয়ে ফেলেছ তোমরা,

 আর হ্যাঁ এই রঙিন জগত থেকে কখনো বেরিয়ে এসো না তখন হয়তো নিজের অস্তিত্বটাই খুঁজে পাবে না,তখন নিজেকে ভীষণ একা লাগবে।

 আমি জানি এ পাড়াগাঁয়ের মেয়ের কথা তোমার মনে পড়বে না কখনো, কিন্তু এই মেয়েটা তোমায় পাগলের মত ভালবেসেছে সেই ভালোবাসার অস্তিত্ব তোমার ঘরের চারপাশে লেগে আছে, বুঝতে পারবে যদি কখনো অনুভব করো ,কিন্তু কখনো অনুভব করতে যেও না ভালো থেকো, চিঠি টা পাবার পর আতিক এর মন ভারাক্রান্ত হয়ে পড়ল আজ প্রায় মাস খানেক হবে নিহার সাথে কোন যোগাযোগ নেই কিন্তু এতোটা খারাপ কখনো লাগেনি।

নীহা চলে যাওয়ার প্রায় ১৫ দিন হবে ।

নীহার অনুপস্থিতি এভাবে চলে যাওয়া আতিকের মনটাকে কেমন জানি বদলে দিতে শুরু করল।

 সেই চিঠির কথাগুলো মনে পড়ছে যখনই ঘরে একা থাকছে তখনই নীহার সাথে কাটানো মুহূর্ত গুলো মনে পড়তে লাগলো যখন ঘুমাতে চায় তখনই মনে হয় এই বুঝি নিহা পাশে আছে, সকালবেলা ঘুম ভাঙতে চায় না আবার হঠাৎ চমকে উঠে এই বুঝি নিহা এসে চোখে মুখে পানি ছিটে দেবে, ঘুম থেকে উঠে মনে হয় নিহার হাতে বানানো চায়ের কথা চারপাশে শুধু নিহা আর নিহা,,,

 ঘরের প্রত্যেকটি জায়গায় যেন নিহার ছোঁয়া লেগে আছে নিহার সাথে অভিনয় করতে করতে মনের এক কোণে যে ভালোবাসার জন্ম হয়েছে নীহার উপস্থিতি আতিককে তা বুঝতে দেয়নি।

 আজ নিহার অনুপস্থিতিতে আতিক কে সেটা বুঝিয়ে দিচ্ছে আতিকের মন তাকে জানান দিচ্ছে যে সে নিহাকে ভালোবাসে, আজ আতিক বুঝতে পারছে যে নিহার সাথে যেটা করেছে সেটা ভুল সেটা অন্যায়, খুব ইচ্ছে করছে মেয়েটাকে দেখতে মনটা ওকে কাছে পেতে চাইছে আজ খুব অপরাধবোধ হচ্ছে ওর,

 কাছ থেকে ক্ষমা চাইতে ইচ্ছে করছে। সে কি ক্ষমার যোগ্য? আজকাল বন্ধুদের আড্ডায় তেমন দেখা যায় না আতিককে অনেকদিন আড্ডায় না পেয়ে রাহাত এসে দেখে আতিকের চেহারার কি বেহাল দশা সে প্রশ্ন করলো কি হয়েছে তোর? তোকে এমন দেখাচ্ছে কেন ?

আতিক রাহাতকে বলল আমি নিহার সাথে অনেক বড় অন্যায় করেছি রে ,সেই অন্যায়ের আগুনে পুড়ে মরছি এখন , আমি ওকে ভালবাসি ওকে ছাড়া বাঁচতে পারছি না,

-এত ভাবার কি আছে ফোন করেছিলি নিহাকে রাহাত বলল 

 -হ্যাঁ নম্বরটা বন্ধ 

-বাড়ির ঠিকানা টা জানিস তো? 

-হুম

-তাহলে বাড়ির ঠিকানায় একটা চিঠি লিখে দে,

হ্যাঁ আতিক তাই করল নিহার কাছে একটা চিঠি লিখতে বসে পড়ল সে ,

অনেক কিছুই মনে আসছে কিন্তু কিছুই লিখতে পারছে না, শুধু লিখল নিহা ,,,

কেমন আছো তুমি ? জানো আমি ভালো নেই ,কারণ তোমাকে ছাড়া সবকিছু কেমন যেন শূন্য লাগছে ,আমি জানি তুমি আমায় কতটা ভালোবাসো ।

আমি জানি যে অপরাধ করেছি তা ক্ষমার অযোগ্য, তুমি কি পারবে দ্বিতীয়বার আমায় ক্ষমা করতে ? আর একটা সুযোগ দিতে ? আমরা কি আবার নতুন করে শুরু করতে পারি না?  সবকিছু ভুলে তুমি ঢাকায় চলে এসো, আর হ্যাঁ শাড়িটা পাঠিয়ে দিলাম আসার সময় এই লাল শাড়িটা পড়ে আসবে ,আমি তোমার অপেক্ষায় থাকলাম ,আর হ্যাঁ তোমার যদি নতুন নম্বর থেকে থাকে চিঠিটা পাবার পরে অবশ্যই আমাকে কল করবে, চিঠিটা হাতে পেয়ে নিহার মন খুশিতে ভরে গেল আবার মনে হচ্ছে এটা আবার কোন নতুন নাটক নয় তো? 

তাই আতিককে একটা ফোন করল নিহা ,আতিকের কন্ঠটা আজ সম্পূর্ণ আলাদা মনে হলো নিহার কাছে, খুব ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে আতিক সব কথার উত্তর দিল আর জোরহাত করে ক্ষমা চেয়ে নিল,

আতিক ক্ষমা চাওয়ায় নিহ এতো দিন এর সব কষ্ট ভুলে গেল,তারপর নিহা বলল যে আমি কাল ঢাকায় আসছি, এত দিনের সব অপমান অভিমান এক নিমিষেই নিহা ভুলে গেল, 

পরদিন সকাল সকাল মায়ের কাছ থেকে বিদায় নিল নিহা, আজ কিছুতেই মায়ের কাছ থেকে যেতে চাইছে না মন ,বিদায় নিতে গিয়ে চোখ দুটো যেন ছল ছল করছিল নিহার, কেন যে মনটা এমন করছে নিহা বুঝে উঠতে পারছে না, নিহা মাকে জড়িয়ে ধরে বলল পরীক্ষা শেষ করেই ফিরবো মা।

 আজ বারবার পিছন ফিরে মাকে দেখতে ইচ্ছে করছে নিহার, যতোক্ষণ চোখ এর আড়ালে না যায় ততক্ষণ মাকে দেখল নিহার।

তারপর বান্ধবীর বাড়ি গিয়ে শাড়িটা পড়ে রওনা দিল নিহা, আতিকের জন্য একটা সাদা পাঞ্জাবি কিনে রওনা দিল সে, সাদা রংটা নিহার খুব পছন্দ ,

এদিকে আতিক যেন খুশিতে আত্মহারা নিহাকে কাছে পাবার খুশিতে ঘর সাজাতে ব্যস্ত হয়ে পড়ল সে ,সাদা রং নিহার খুব পছন্দ তাই বালিশ বিছানা পর্দা থেকে শুরু করে সব সাদা রঙে ভরিয়ে দিল, সাদা গোলাপ আর রজনীগন্ধায় খাট সাজিয়ে নিল, সে নিজেকে ও সাদা রঙে সাজলো,

রাহাত বলল এবার যথেষ্ট হয়েছে নিহাকে আনতে যেতে হবে তো তাই না ?

গাড়িটাও সাজিয়ে নিল আতিক সাদা ফুল দিয়ে বউকে নিতে যাবে সে, গাড়িতে চেপে বসলো সে এবার,

এমন সময় আতিকের ফোনটা বেজে উঠলো নিহার ফোন , আতিক খুশি হয়ে ফোনটা রিসিভ করল ফোনটা রিসিভ করতেই এক অপরিচিত কন্ঠ ভেসে এলো ,,,

লোকটা বলছে বাসটা এক্সিডেন্ট হয়েছে মেয়েটার অবস্থা ভালো না তাড়াতাড়ি হাসপাতালে নিতে হবে। আতিকের শরীর যেন নিথর হয়ে গেল তাড়াতাড়ি গাড়ি চালিয়ে ঘটনা স্থলে গিয়ে দেখে নিহাকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠানো হচ্ছে ,আতিক উঠে বসলো নিহার পাশে, নিহার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরল সে নিহা খুব জোরে জোরে শ্বাস নিচ্ছে আতিক নিহাকে বুকে জড়িয়ে নিল, 

আতিকের চোখ গড়িয়ে শুধু জল পড়ছে, বুকে টেনে নিতেই নিহা বলছে খুব ভালোবাসি তোমায় আর ক'জনের ভাগ্য হয় বলো এমন করে ভালবাসার মানুষের বুকে মাথা রেখে মরার! বলতে বলতে নিহার নিশ্বাস আরো ঘন হয়ে এলো, তারপরে আর কোন সাড়া পাওয়া গেল না, ডক্টর বলল নিহাআর নেই ,,,,

আতিকের বুকের পাঁজর গুলো মনে হয় ভেঙেচুরে আসছে বুকের মধ্যে মনে হয় শুনেমি বয়ে যাচ্ছে,, এ কেমন শাস্তি ?নীহার কথাগুলোই ঠিক ,,,আতিক যেদিন নিহাকে কাছে পাওয়ার চেষ্টা করবে সেদিন ও আর পাশে থাকবে না তাই বলে এভাবে ফাঁকি দিয়ে চলে যাবে কেউ, এত বড় শাস্তি? আতিক এর ভুলের শাস্তি নিহা জীবন দিয়ে বুঝিয়ে দিয়ে গেল।

সেই রাতেই সেই সাজানো গাড়িতে করে নতুন বউ নয় মরণযাত্রা গেল নিহার বাড়িতে 

আতিক সেই যে ফুলে সাজানো গাড়িতেই নিহাকে নিয়ে রওনা দিল,, নিজ হাতে নিহার কবর রচনা করলো 

সেই সাদা কাপড়ে মুড়িয়ে ভালবাসাকে মাটি চাপা দিতে হলো,, আতিক নিজ হাতে নিহার কবর রচনা করলো সাদা রঙে রাঙিয়ে আর ফুলশয্যা রচনা করা হলো না সেটা পরিণত হল কন্টকসজ্জায় 

 তারপর থেকে আতিকের এই অবস্থা আর কোন মেয়ের দিকে ফিরেও তাকাইনি সে ।

আজ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ে সে ,প্রত্যেক শুক্রবারে সে নিহার দেওয়া পাঞ্জাবিটা পড়ে নামাজ পড়তে যায় সে।

এই সেই শীতকাল,

Comments

    Please login to post comment. Login

  • Kazi Eshita 3 months ago

    শেষটায় কি মৃত্যু ছাড়া হতো না?