আমাদের যদি আর ফেরার গান না বাজে
যদি সীমান্তের লাল রেখা রক্তের মতো ভেসে যায় নদীর তলদেশে
তবে জেনে রেখো, হে আমার স্বদেশ!
এখানে ভাঙা খড়কুটোয় জন্ম নেবে না কোনো গৃহ
বরং মাটির বুকেই ঘুমাবে অগ্নিশিখার শিশু।
এখানে কার্তিক আসে পোড়া ধানের গন্ধে
ফাল্গুন আসে রক্তিম আগুনে পোড়া পলাশ হয়ে
শ্রাবণ কি এসেছিল খরার কঙ্কাল উপেক্ষা করে?
হে স্বদেশ!
অদৃশ্য তবু অমোঘ মাতৃরূপে তুমি দাঁড়িয়ে আছো
আমার নিঃশ্বাসের ভিতরে তুলসীর ধূপের মতো;
তোমাকে যদি কখনো ভুলে যাই ক্ষণিকের স্বার্থে
তবে বিশ্বাস রেখো,
এখানে পাথরের বুকে জন্মাবে স্বাধীনতার বীজ
ধুলোয় ছড়িয়ে পড়বে না দাসত্বের ছায়া।
আমাদের যদি আর দেখা না হয়
যদি বন্দুকের নলেই জন্ম নেয় আগামী সকাল
যদি পতাকার রঙ মিলিয়ে যায় শকুনের ডানায়
তবে মনে রেখো, আমার স্বদেশ
এখানে আকাশ আসে না নক্ষত্রের দিশা মেনে
বরং প্রতিটি অশ্রু
জন্ম দেয় এক নতুন স্বাধীনতার মিছিল।