মেঘাচ্ছন্ন আকাশ। চারিদিকে ঝড়ো হাওয়া বইছে। শুনশান নীরবতা। পিপিলিকার পায়ের আওয়াজ ও যেন শোনা যাচ্ছে। কারেন্ট নেই। এরই মাঝে রুমে বসে আছে তাসিন। বাড়িতে কেউ নেই। বাবা-মা দেশের বাড়িতে যায় তার মেজ খালা অসুস্থ হওয়ার কারণে। পরীক্ষা থাকায় তার যাওয়া হয়নি। ইদানিং এলাকায় চোর বাটপারের বড়ই উৎপাত। নীরবতা ভেঙে বাইরের সিঁড়ি দিয়ে ধুপ ধাপ করে নেমে যাওয়ার আওয়াজ হয়। একি! ভীষণ ধস্তাধস্তির আওয়াজ হচ্ছে যে?নিঃশব্দে দরজায় কান পেতে আওয়াজ শুনছিল সে। ভীতু প্রকৃতির হওয়ায় বাইরে যাওয়ার সাহস হয়নি তার।ধস্তাধস্তি শেষ হওয়ার প্রায় আধাঘন্টা পর নিচে নেমে এলো সে। গিয়ে যা দেখল তাতে আঁতকে উঠল সে। দেহ থেকে ছিন্ন মাথা, চারিদিক রক্তারক্তি হয়ে রয়েছে। মাথা মাঝখান দিয়ে ফাড়া।পাশেই পড়ে রয়েছে দেহের বাকি অংশ। মগজ থেতলে গেছে। চোখের ভিতর দিয়ে রড ঢুকানো। কতটা শত্রুতা থাকলে মানুষ এমন করতে পারে? তাসিন এর বমি হওয়ার যোগাড়। কিছুক্ষণ পর মানুষ এসে জড়ো হলো। পুলিশ আসলো। তদন্তে বেরিয়ে এলো মেয়েটির বড়ো বোনকে রেপ করার কারণে মেয়েটি মামলা করে।সেই শত্রুতার বশেই এই নরহত্যা। কিছুদিন টেলিভিশন মিডিয়া পত্রপত্রিকায় লেখালেখি হলো। ঘটনাটি প্রায় ভুলেই গিয়েছিল তাসিন। একদিন ছাদে শুয়ে ছিল সে। হঠাৎ দেখতে পায় সেই নারীটি তার সামনে দাঁড়িয়ে। হাওয়ায় ভাসছিল মেয়েটি। তাসিন চোখ কচলালো। ভাবল সে ভুল দেখছে না তো? না,আসলেই মেয়েটি তার সামনে দাঁড়িয়ে। মেয়েটি বললো,চাইলে আমাকে বাঁচাতে পারতে।
এই বলে হাওয়ায় মিলিয়ে গেল।
56
View