চট্টগ্রামের এক পুরনো পাড়ায় বড় হয়েছে শ্রাবণ আর রাফি। স্কুলের প্রথম দিন থেকেই তারা ছিল অবিচ্ছেদ্য—একসাথে খেলাধুলা, পড়াশোনা, এমনকি দুষ্টুমিও। শ্রাবণ ছিল শান্ত, চিন্তাশীল; রাফি ছিল প্রাণবন্ত, একটু বেপরোয়া। কিন্তু এই দুই বিপরীত চরিত্রের বন্ধুত্ব ছিল যেন আকাশ আর বাতাসের মতো—সবসময় একে অপরকে ছুঁয়ে থাকে।কলেজে ওঠার পর, রাফি একদিন হঠাৎ করে শ্রাবণের একটা গোপন কথা অন্যদের সামনে বলে ফেলে। শ্রাবণ খুব কষ্ট পায়, কথা বন্ধ করে দেয়। রাফি বুঝতে পারে না, সে ভাবে এটা সামান্য মজা ছিল। দিন যায়, মাস যায়—তাদের মধ্যে দূরত্ব বাড়ে।একদিন শ্রাবণ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে। হাসপাতালে ভর্তি। খবর পেয়ে রাফি ছুটে যায়, চোখে জল নিয়ে বলে, “ভুল করেছি রে ভাই, বুঝিনি তোকে এতটা কষ্ট দিয়েছি।” শ্রাবণ ধীরে হাসে, বলে, “বন্ধুত্ব মানে তো ভুলের পরেও পাশে থাকা।”সেই দিন বিকেলে হাসপাতালের জানালার পাশে বসে তারা দুজন আবার গল্প করে, হাসে, আর পুরনো স্মৃতিগুলোকে নতুন করে বুনে ফেলে।
বন্ধুত্ব মানে শুধু একসাথে থাকা নয়, মানে একে অপরকে বোঝা, ক্ষমা করা, আর সময়ের সাথে সম্পর্ককে আরও দৃঢ় করা।
63
View