মিথিলা ছিল একটি ছোট শহরের এক সাধারণ স্কুলের ছাত্রী। সে সবসময় পড়াশোনায় মনোযোগী ছিল, কিন্তু তার স্বপ্ন ছিল বড়—একদিন সে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হবে।এসএসসি পরীক্ষায় সে ভালো ফল করলেও, এইচএসসি-তে তার ফল আশানুরূপ হয়নি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রথমবারেই সে অকৃতকার্য হয়। চারপাশের মানুষ বলতে থাকে, “সবাই তো আর ডাকসাইটে হয় না!” মিথিলার আত্মবিশ্বাস ভেঙে পড়ে।তার প্রিয় শিক্ষক, রুহুল স্যার, একদিন তাকে ডেকে বললেন,
“মিথিলা, ব্যর্থতা মানেই শেষ নয়। এটা হলো শেখার শুরু। তুমি যদি হাল না ছাড়ো, সফলতা তোমার হবেই।”
গুলজার স্যার তাকে একদিন নিজের কাব্যসংগ্রহের একটি বই উপহার দেন। বইয়ের প্রথম পাতায় লেখা ছিল—
এই দুটি মানুষ মিথিলার জীবনে আলোর দিশা দেখান।মিথিলা আবার প্রস্তুতি নেয়। প্রতিদিন ভোরে উঠে পড়াশোনা করে, নিজের ভুলগুলো বিশ্লেষণ করে, এবং আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে। সে বাংলা ও ইংরেজি সাহিত্য নিয়ে গভীরভাবে পড়তে শুরু করে। গুলজার স্যার তাকে কবিতা লেখার চর্চা করতে বলেন, এবং তার লেখা স্কুল ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়।কদিন গুলজার স্যার বলেন,
“তোমার গল্প একদিন আমি আমার ছাত্রদের বলব। তুমি আমার গর্ব।”মিথিলার গল্প আমাদের শেখায়—ব্যর্থতা কোনো অভিশাপ নয়, বরং সফলতার সিঁড়ি।
আর একজন ভালো শিক্ষক শুধু পাঠ্যবই শেখান না, জীবনের পথও দেখান।