সব কাজ শেষ করে টাকা পয়সা বুঝে নিয়ে আমার কসাই তাঁর নিজস্ব লেগুনা দিয়ে চলে যাবার আগে তাঁকে বললাম, ‘গরুর ভুড়ি কই?’
সে অবাক দৃষ্টিতে তার চাটাই মাটাই ছুরি-চাপাতির ব্যাগ এলোপাথাড়ি করে খুঁজলো… ভুড়ি আর পায় না …এমনকি নিজের লুংগিও ২ বার ঝাঁকা দিলো
"স্যার আপনার গরুর ফিগার এবার ভাল ছিল, ভুড়ি মোটামুটি ছিলোই না বলা যায়… চলে গেছে হয়তো কোন পোটলার ভিতরে..ম্যাডামরে খুঁজতে বলেন বাসায়, পায়া যাইবো"
‘আচ্ছা ভাল কথা, পায়া কই‘
সে আবার তার চাটাই মাটাই ছুরি-চাপাতির ব্যাগ এলোপাথাড়ি করে খুঁজলো… চারটা পা এর একটাও নাই
আমি বললাম ‘লেগুনাতেও একটু কষ্ট করে খুঁজে দেখবা নাকি? হয়ত ভুলে কেউ রেখে দিসে ওখানে’
সে লেগুনায় খুঁজতে যেয়ে, লেগুনা স্টার্ট দিয়ে তার ৩ জন সাঙ্গপাঙ্গকে আমার কাছে রেখেই সোজা টান দিয়ে ভটভট করে চলে গেলো
আমি তাকিয়ে আছি তার সাঙ্গপাঙ্গদের দিকে, তারা তাকিয়ে আছে ধুলা উড়িয়ে ছুটে চলা লেগুনার দিকে
আমি বললাম ‘শুনো, দৌড় দিয়ে লাভ নাই... তোমার উস্তাদ যেহেতু তোমাদের হাসিনার মতো একা ফেলে চলে গেছে… এখন আমি তোমাদের উস্তাদ… আসো বসি...বসে ভাবি আমাদের নেক্সট স্টেপ কি হওয়া উচিত… তোমাদের কিছু বলার আছে?’
“হে গরুর মাথাটাও লয়ে গেসে”
‘তোমার উস্তাদের বাসা চিনো?’
“চিনি”
‘তোমাদের কি ধারনা, সে বাসায় যাবে?’
“না”
‘কোথায় যাবে জানো?’
“জানি… হাজারিবাগ যাবে”
‘তাইলে চলো রওনা দেই… এই ঈদে আমি খাই’ই একটু ভুড়ি মগজ আর পায়া… ব্যাপারটা আমি যে পার্সোনালি নিয়ে নিসি, বুঝতে পারতেসো? চলো রওনা দেই’