ডাক্তার হওয়ার কারণে বন্ধুদের বিচিত্র সব "যৌন সমস্যার" সমাধান আমাকে দিতে হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটা বলি:
আমার বন্ধু আশিক ২০০৪ সালে এক উঠতি মডেলের সাথে প্রেম করতো। শুরুর দিকে আমাদেরকে সে জোর করে বোঝাত যে মডেল হলেও মেয়েটা ভদ্র এবং লাজুক। চুমু খাওয়া দূরে থাকুক, হাত ধরতে চাইলেও সে আশিককে সরিয়ে দেয় এবং বলে বিয়ের আগে ছোঁয়াছুঁয়ি করা হারাম।
আমরা আশিকের কথা শুনে অবাক হতাম। প্রথম আলোর নকশায় ওর গার্লফ্রেন্ডের খোলামেলা ছবি দেখে এসব বিশ্বাস করতে কষ্ট হতো। আমাদের বন্ধু খেচু ফাহিম বর্বর জানোয়ারের মতো মেয়েটার ছবি দেখে দিনে দুইবার হাতমকশো শুরু করেছিল। আমরা অনেকবার বুঝিয়ে বলার পর যে এই পাপকার্যে অব্যহতি দিয়েছিল ঠিকই; তবে স্বীকার করতে হবে আমরাও মডেল সংক্রান্ত ফ্যান্টাসিতে শরীরের ভেতর শিরশিরে অনুভূতি টের পেতাম। বন্ধুর প্রতি অসম্মান করা যাবে না ভেবে নিজেদের শান্ত রাখতাম আমরা। ভাবতাম মডেলিং অথবা খোলামেলা পোশাকের সাথে তো আর চরিত্রের সম্পর্ক হয় না!
একদিন বিকালবেলা গুলশান ২ এর মোড়ে দাঁডিয়ে ব্রি সেবনরত অবস্থায় মিলফ অবলোকন করছিলাম, এমন সময় হঠাৎ আশিকের ফোন এলো। ফোন বিষয়ে আশিকের একটা বদনাম আছে। শ্লা নিজেও কাওকে ফোন করে না, আবার ওকে ফোন করলেও ধরে না। আকস্মিক এই ফোনকল দেখে আমার মুখ থেকে অবাক বিস্ময়ে ব্রি খসে পড়ল।
তাড়াহুড়া করে ফোন ধরতেই দেখলাম আশিক ভীষণ হাপাচ্ছে।
ওপাশ থেকে গোগো শব্দে নারীকণ্ঠের ফিসফিসানিও কানে এলো যেন। অবাক হয়ে আশিককে জিজ্ঞেস করলাম, "কীরে মামা, সূর্য আজকে কোনদিকে উঠছে?"
আমার কথার জবাব না দিয়ে আশিক বিড়বিড় করে কী যেন বলল। বুঝতে পারলাম না। আবার জিজ্ঞেস করার পর শুনলাম:
"সূর্য মূর্য রাখ মামা। তুই একটা জরুরি ইনফো দে। মাল পেটে গেলে কি প্রেগনেন্ট হইতে পারে?"
মাল? কী মালের কথা বলতে চাইছে আশিক? এমনিতে ওর প্রতি বৃহস্পতিবার রাতে কিঞ্চিৎ মদ্যপানের অভ্যাস আছে। মদকে ও বরাবরই 'মাল খাওয়া' নামে অভিহিত করে। কিন্তু তার সাথে গর্ভধারণের কী সম্পর্ক?
ভালোভাবে বুঝিয়ে বলতে বললাম। জবাবে যা শুনলাম, তার ব্যাখ্যা হচ্ছে:
ভার্সিটির ক্লাস শেষ হবার পর আশিকের মডেল গার্লফ্রেন্ডের ভীষণ ক্ষুধা পেয়েছিল। মধ্য শরতের বিকেল, কাশফুলের সাথে এস্থেটিক ছবি না তুললে মেয়েদের শরীরে ফোস্কা পড়ে যাবার উপক্রম হয়। তাই আশিকের কাছে সে প্রস্তাব রেখেছিল, ড্রাইভে বেরোবে। দিয়াবাড়ির নির্জন কাশবাগানে গায়ে কাশফুলের নরম ছোঁয়া লাগিয়ে এরপর কোন রেস্টুরেন্টে খাবে দুজন।
সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী আশিক ওর বান্ধবীকে নিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়াবাড়ির নির্জন এলাকায় উপস্থিত হয়। জনশূন্য কাশবাগানে গাড়ি থামানোর পর সেই সুন্দ্রী মডেল আশিককে নিয়ে পেছনের সিটে গিয়ে বসে। এরপর ব্যাগ থেকে কলম বের করার কথা বলে ঠুস করে কলমটা নিচে ফেলে দেয়। তখনই কলম তোলার ভান করে নিচে ঝুঁকে যায় এবং কিছু বুঝে ওঠাত আগেই আশিকের প্যান্টের জিপার খুলে পকপক শব্দে মুখমেহন শুরু করে দেয়। আশিক বরাবরই একটু ভদ্র গোছের। আগের গার্লফ্রেন্ডের সাথে লিফটের ভেতর ঠোটে ঠোট মেলানো পর্যন্তই ওর দৌড় সীমাবদ্ধ ছিল। শরতের বাতাসে হঠাৎ ভেসে আসা ফুলের সুঘ্রাণের মতো এই হঠাৎ মুখমেহনে সে আবিষ্ট হয়ে যায়। এক মিনিটের মাথায় প্রচণ্ড উত্তেজিত হয়ে সুন্দ্রী মডেলের মুখের ভেতর আগ্নেয়গিরির মতো স্খলন করে যৌবনরস।
এরপরেই ওর চেতনা ফিরে আসে। এই তো পৃথিবীর সেই প্রাচীনতম সৃষ্টিসুখের উল্লাস ভরা শ্বেতশুভ্র তরল, নারীর অভ্যন্তরে উপস্থিত হয়ে যা কিনা মিলনের মাধ্যমে নতুন প্রাণের সৃষ্টি করে। যোনিদ্বার হয়ে যদি সে জরায়ুতে যায়, তবে মুখগহবর হয়ে যেতেই বা বাধা কীসের?
বিপদে পড়ামাত্রই সর্বপ্রথম আশিকের মাথায় আমার নামটা ভেসে ওঠে। পুরো ঘটনাটা খুলে বলার পর সে আমার কাছে জানতে চায়, "আচ্ছা মামা, এখন তাইলে কী পিল খাওয়াব? পুরাটাই চটকায়া গিল্যা খাইয়া ফেলছে। এখন তো শিওর ঝামেলা হবে।"
সমাধান বাতলে দেয়ার আগে আমি জানতে চাই, "কিন্তু তোর প্রেমিকা না অনেক রিজার্ভড? তুইই না বলছিলি, বিয়ের আগে হাত ধরাও নিষেধ?"
জবাবে আমাকে মুখ খারাপ করে গালি দেয় আশিক। তারপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে, "এসব কথা বিশ্বাস করিস কেন, ফাকতাড়ুয়া? জানিস না, মেয়েরা শুধু ছেলেদের দেহ চায়?"