সূচিপত্র (পরিকল্পনা)
১. চায়ের দোকানের প্রথম বিস্ফোরণ
২. মাছের বাজারের মহাযুদ্ধ
৩. স্কুল মাঠে লাঠিখেলা
৪. কাদার যুদ্ধে গড়াগড়ি
৫. বিয়ের বাড়িতে মারামারি
৬. হাটে হাঁস-মুরগির যুদ্ধ
৭. বাসে মারামারির ধাক্কাধাক্কি
৮. নদীতে ডুবসাঁতারের লড়াই
৯. থানায় গিয়ে পুলিশকে কাদায় ফেলা
১০. গ্রামের মেলায় ‘হাসির মারামারি প্রতিযোগিতা’
অধ্যায় ১: চায়ের দোকানের প্রথম বিস্ফোরণ (৫ পৃষ্ঠা সমান)
বিকেল বেলা গ্রামের মোড়ের চায়ের দোকানে গরমাগরম চা খেতে খেতে লোকজন আড্ডা দিচ্ছে।
রিকশাওয়ালা কালাম আর কৃষক আব্দুল বসে চা খাচ্ছিল।
কালাম গলা চড়াল—
“আমার চায়ে দুধ কম কেন?”
আব্দুল ঠোঁট বাঁকাল—
“তোর ভাগ্যে দুধ কমই আসে, গরু তোকে চিনে গেছে।”
এতে দোকানদার হাফিজ মিয়া মজা করে বলল—
“তোমাদের দুইজনকে যদি এক কাপেই দিই, তবেই হয়তো দুধ সমান হবে!”
কালাম ক্ষেপে গিয়ে বিস্কুটের কৌটা ঠাস করে আব্দুলের মাথায় মারল।
আব্দুল চেঁচাল—
“আমার মাথা দিয়ে বিস্কুট পড়ছে, খেতে চাইলে এসো!”
সবাই হেসে মরল। দোকান ভেঙে কাদার মধ্যে গড়াগড়ি—
একসময় ছাগল এসে পুরো ঝগড়ার মধ্যে সমুচা চুরি করে নিল।
আর লোকজন হাসতে হাসতে মাটিতে পড়ে গেল।
অধ্যায় ২: মাছের বাজারের মহাযুদ্ধ (৬ পৃষ্ঠা সমান)
দু’দিন পর বাজারে আবার দেখা।
কালাম ইলিশ কিনছে, আব্দুল রুই মাছ।
বিতর্ক শুরু হয়ে গেল—
“ইলিশ বড় না রুই বড়?”
হঠাৎ কালাম ইলিশ দিয়ে ঝাপাট্টা মেরে বসলো।
আব্দুলও রুই তুলে দিল পাল্টা আঘাত।
বাজারে লোকজন ভেবেছিল যুদ্ধ নয়, বরং মাছ নাচের আসর বসেছে।
একসময় দুইজনেই পিছলে পড়ে গেল—গায়ে মাছ, মাথায় কাঁকড়া, মুখে ঝিনুক।
একজন বুড়ি চিৎকার করে উঠল—
“আহারে, মানুষ না মাছ? নতুন প্রজাতি বের হইছে নাকি!”
অধ্যায় ৩: স্কুল মাঠে লাঠিখেলা (৬ পৃষ্ঠা সমান)
স্কুল মাঠে ক্রীড়া প্রতিযোগিতা।
কালাম বলল—
“আমি জিতব।”
আব্দুলও বলল—
“আমি না, তুই জিতবি? আমি তোকে মাটিতে শুইয়ে রাখব।”
দু’জন লাঠি নিয়ে লড়াই শুরু করল। কিন্তু প্রতিবার লাঠি গিয়ে পড়ছে দর্শকদের গায়ে।
কেউ মাথায়, কেউ হাতে, আবার কারো বাটারফ্লাই খিচুড়ির হাঁড়িতে!
শেষমেশ মাস্টার মশাই ঝাড়ু হাতে এসে দু’জনকে তাড়া করল।
লোকজন হাসতে হাসতে বলল—
“লাঠিখেলা না, এ তো ঝাড়ুখেলা!”
অধ্যায় ৪: কাদার যুদ্ধে গড়াগড়ি (৭ পৃষ্ঠা সমান)
বর্ষার দুপুরে কাদা ভর্তি মাঠ।
হঠাৎ দেখা হলো। কথায় কথায় হাতাহাতি।
দু’জন কাদায় লুটোপুটি খেলতে খেলতে একসময় বুঝতেই পারল না কার শরীর কোথায়।
আব্দুল বলল—
“আমার চোখে কাদা ঢুকছে, দেখ না!”
কালামও বলল—
“আমার নাকে ব্যাঙ ঢুকছে, বের করে দে আগে!”
লোকজন ভেবেই পেল না এটা মারামারি, না কি নতুন ধরনের খেলা।
শেষে গ্রামের ছেলেরা এসে কাদায় ঢিল ছুঁড়তে শুরু করল।
পুরো মাঠ কাদার রঙ্গমঞ্চ হয়ে গেল।
অধ্যায় ৫: বিয়ের বাড়িতে মারামারি (৮ পৃষ্ঠা সমান)
গ্রামে এক বিয়ে। সবাই খাচ্ছে বিরিয়ানি।
হঠাৎ কালাম বলল—
“আমার প্লেটে মুরগির রান কম, আব্দুলের বেশি!”
আব্দুল উত্তর দিল—
“তুই সবসময় কম খাবি, এটাই ভাগ্য।”
মুহূর্তেই বিরিয়ানির হাঁড়ি উল্টে গেল।
একজনের মাথায় ডিম, আরেকজনের মুখে আলু, কারো নাকে গরম মুরগির পা।
গান-বাজনা বন্ধ হয়ে লোকজন হাসিতে ফেটে পড়ল।
শেষমেশ বর এসে চিৎকার করে উঠল—
“বিয়ে নাকি কুস্তি প্রতিযোগিতা?”
অধ্যায় ৬: হাটে হাঁস-মুরগির যুদ্ধ (৪ পৃষ্ঠা সমান)
কালাম-আব্দুল এবার হাঁস কিনতে হাটে গেল।
কে বেশি মোটা হাঁস কিনেছে তা নিয়ে বিতর্ক শুরু হলো।
একসময় হাঁসগুলোকে একে অপরের গায়ে ছুঁড়ে দিল।
ফলাফল—হাঁসগুলো উড়ে গিয়ে বাজারের মানুষের মাথায় বসে ডাকাডাকি শুরু করল।
হাট একেবারে হাঁসের মিছিল হয়ে গেল।
অধ্যায় ৭: বাসে মারামারির ধাক্কাধাক্কি (৪ পৃষ্ঠা সমান)
শহরমুখী বাসে উঠল দু’জন।
আসন নিয়ে ঝগড়া—
“আমি জানালার পাশে বসব।”
“না, আমি বসব।”
একসময় ধাক্কাধাক্কি করতে করতে দু’জন বাসের জানালা দিয়ে অর্ধেক বেরিয়ে গেল।
বাসের লোকজন হেসে কুটিপাটি—
“এরা জানালা দিয়ে উড়ে যাবে নাকি!”
অধ্যায় ৮: নদীতে ডুবসাঁতারের লড়াই (৩ পৃষ্ঠা সমান)
নদীতে সাঁতার কাটতে নেমেছে।
কে বেশি দূর যাবে তা নিয়ে আবার শুরু।
একসময় দু’জনেই ডুবসাঁতার দিতে গিয়ে একে অপরের গা চেপে ধরল।
ফলাফল—দু’জনের মাথায় শামুক আটকে গেল, আর মাছগুলো হাসি পেয়ে লাফাতে লাগল।
অধ্যায় ৯: থানায় গিয়ে পুলিশকে কাদায় ফেলা (৪ পৃষ্ঠা সমান)
বারবার মারামারির কারণে দু’জনকে থানায় আনা হলো।
কিন্তু সেখানেও ঝগড়া থামল না।
পুলিশের সামনে ধাক্কাধাক্কি করতে গিয়ে টেবিল উল্টে দিল।
ফলাফল—পুলিশ কাদায় পড়ে গেল!
পুলিশ উঠে চিৎকার করে বলল—
“এইবার তোদের কোর্টে পাঠাব না, সার্কাসে পাঠাব!”
অধ্যায় ১০: গ্রামের মেলায় হাসির প্রতিযোগিতা (৩ পৃষ্ঠা সমান)
শেষে গ্রামের লোকজন সিদ্ধান্ত নিল—
এই দুইজনের ঝগড়া বন্ধ করা যাবে না।
তাই “হাসির মারামারি প্রতিযোগিতা” নামে মেলায় আয়োজন হলো।
কালাম-আব্দুল দুইজন মঞ্চে উঠে যেভাবে মারামারি শুরু করল, পুরো গ্রাম হেসে কাঁদতে লাগল।
উপসংহার
মারামারি তাদের জীবনের অংশ হয়ে গেল, কিন্তু সেটা দুঃখ নয়—বরং আনন্দ।
লোকজন বলতে শুরু করল—
“এই দুইজন আছে বলেই গ্রাম এত হাসিখুশি।”