কাঠ,মাটি,কয়লা বা টোকাইদের গল্প
ঝিরিঝিরি আবহাওয়া, জংলার ধারে মফস্বলের ডোবায়, শালুকের বনে, ঝাপিঁয়ে পড়ে টোকাই,নোংরা ডোবায় কলমী ডগা খুজেঁ বেড়ায়,আজ দূপুরে কলমী রান্না হবে।
ঠকঠকানি আদুরী, বস্তিতে কাগজ খুজেঁ।
সলজ্জিত রফিক সাহেব,টিনের চালায় সলতে
জ্বালায়,আর পেপার পড়ে,ঘন মেঘে অন্ধকার চারিদিক।
লুকোচুরি খেলা বালকের দল ঘরে ঢুকে পড়ে,আজ ঘরে কাথাঁ মুড়ি দিয়ে শুয়ে পরবে।
রাস্তার ধারে পোস্টমাস্টার সংকিত,চিঠি পৌঁছে দিতে হবে,তড়িঘড়ি।
অসহায় শ্রমিক ক্লান্ত,আজ টাকা পাবেনা বিল্ডিং ঢালাই-করা হয়নি।
ঐদিকে কাতর পাখির দলনীড়ে কিন্ত ভেজা কাক দুটো খাবার খুঁজে, বিল্ডিং এ আশ্রয় নেয়।
নৌকা করে খালের ধারে মাছ খুঁজে বস্তিরা,পাশের নওগাঁ বাড়ি ডুবু খালের ভরা
তিথিতে,জোয়ার আসছে।
প্রেমিকের চিঠি ভিজে গেছে,প্রেমিকার হাতে পৌঁছায়নি।
ভোটকা ভ্যাপসা কন্ঠ আসছে বুয়ার গায়ে,আজ স্বামীর বকবকানি ভালো লাগে না।
জমির চাচা বেড়াতে এলেন,তরতাজা মাছ নিয়ে,শাক,পাতা,ফল নিয়ে।
কড়ুই খায় পাশের বাড়ির সলিয়া,কাজের মেয়ে।
লেবু টেপে বাবা, আর বেঁচে থাকার তৃষ্ণায়
দাদাদাদু।
বর্ষার সুর, বিভিন্ন রকম,বিভিন্ন অভিজ্ঞতা, মাঠ পেরুলেয় বন,হাট পেরুলেয় ঘর।লুকিয়ে থাকে দৃষ্টিকোণ,মন বিভিন্ন রকম,পরিস্থিতি, প্রতিকূলতা,কাঠ,কয়লা ও টোকাইদের জীবনে,জীবন ও জীবিকা অনিশ্চিত, বিধাতার পথ সুনির্দিষ্ট,নিবিড় পর্যবেক্ষণীয়।