Posts

গল্প

আমাবশ্যা তিথি,অমানিশা ও একজন মায়াবিনী

September 4, 2025

Mubarra Ayesha Chowdhury

Original Author me

Translated by Me

75
View


অশরীরী আত্মারা রিমিঝিমি পায়ে হেটেঁ বেড়ায় আমাবশ্যা তিথিতে,গাঁয়ে কাটাঁ দিয়ে উঠে
তিথিতে,এমন এক রাতে অমানিশা নামক কুৎসিত আত্মা হঠাৎ হাটঁতে বেড়িয়েছে।

ভরা তিথির চন্দ্রের অনুপস্থিতিতে  অমানিশার কাজ কোন জ্যন্ত মনুষ্যের ফুসফুস জোগাড় করা
,চিবিয়ে খেতে হবে,ব্যাপারটা ভারী অদ্ভুত আর বিতিকিচ্ছিরি, তবুও চাই।অমানিশার স্ত্রী রিরির অ্যালভিউলাইগুলো নাকি কালসিটেঁ দাগ পরে গেছে,কিঁ করাঁ,কিঁ করাঁ!

বছরে একমাত্র এ দিন আসে,আজ যে করেই হোক কোন জ্যন্ত মানুষের ফুসফুস চিবিয়ে খাইয়ে দিতে হবে, নাহয় রিরি আর কখনো বেরুতে,চলতে,রাধঁতে পারবেনা মহাঁমুশঁকিল!

অপূর্বদের বাড়িয়ে কোন জোৎস্না হয়না,বছর বছর আমাবশ্যা লেগেই থাকে,বেচারা অপূর্বর বোন রুশু আপার বড় অসুখ,কিছুতেই সাড়ে না।

ঐ দিকে পুকুরের কাছে লোকদুটোকে ভূত বেচারা মারা ফন্দিঁ আটেঁ,তোরাঁ কেঁ রেঁ?

আমিঁ তোদেরৃ ঘাড়ঁ মটঁকাবো,চিবিঁয়ে খাবো হাড্ডিঁযতঁ,যেই বলা সেই কাজ,লোকদুটো পুকুরের পানিতে হাবুডুবু খেল,আর পানিতে ফুসফুস নষ্ট হয়ে যাবে,তাই আর হলোনা।

তৃতীয় বাড়ির উঠোনে দূষ্ট শিশুর পাল্লায় পরল,বেচারী ভূত প্রাণ নিয়ে কোনরকমে ছুটে এলো,ঔ বাচ্চা ভূত সমাজের রাজাকে হার মানায়,যখনই বলে-আমি অমাঁ...নিশাঁ,তখনই ভূতঁকে বাচ্চা বলে-"আমি তোর বাপ বলছি,আমি আজ তোকে খাবো"-এরপর লাঠি নিয়ে ঘুরাতে লাগল,এতেই কুপোকাত।

চতুর্থ বাড়িঅপূর্বদের,আমাবশ্যা বাড়ির,সবাই কান্না করছে,রুশু আপা বেহুঁশ, ডাক্তার আশা ছেড়ে দিয়েছে,।

আপাকে রেখে সবাই হঠাৎ বাইরে এলো, ভূতের অত্যাচারে।

ঐদিকে হাইপার অমানিশা রুশু আপাকে ঘরে ঢুকে  উৎপাত শুরু করল,ফুসফুসে হাত দিতেই বেচারীর হঠাৎ ইচ্ছে হলো এ মানুষের এত বোকাভাবের কারণ কি?

রুশু আপা বেশ বুদ্ধিমান, বলল-তুমি আমাবশ্যা তিথির ভূত,আমার দূদিন পর মৃত্যু হবে,তুমি কেন এসোছো?
-আমি অমানিশাঁ,ফুসফুস চাইঁ আমারঁ,

রুশু আপা-আমি রুশু,আমার বাচারঁ ইচ্ছে ছিল খুব,
-কেঁন?
-আমি জোস্নার মায়াভরা রাতে মায়ের কণ্ঠে গান শুনতে ভালোবাসি,আমি বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দেওয়া,ভাইয়ের দুষ্ট ফড়িং নিয়ে খেলা,জোনাকি পোকা সব অনুভব করি,আমি পৃথিবীর ডালপালা,পাখির কন্ঠ,ফুল দেখিনি অনেকদিন,আমি বাচঁতে পারব না,দুটো দিন আছে,আমি এ দূটোদিন হেসেখেলে থাকতে চাই।
-অমানিশাঁর করুণ চাহনি আর মায়াবী মেয়ের মায়ায় পরল,

কিন্তু ভূত বলেঁ কথাঁ,হঠাৎ সেঁ তার কষ্টকর অনুভূতি কথা বলল,

রুশু মায়াবতী, তাই অমানিশাঁর কথাই রাখল,ফুসফুস বিলিয়ে দিল,বিদায় বেলায় রুশু আপা হাসিহাসি মুখ করে ছিল।

ঐদিনে অমানিশা ফুসফুস নিয়ে যাওয়ার পথে হঠাৎ লক্ষ্য করল,দুচোখ গড়িয়ে রক্তজল(ভূতের জল রক্ত)পরছে।কোন এক মায়াবীনির মায়া অমানিশাকে অপরাধী করল,

ঐদিকে রুশু আপার মৃত্যুর সময় ঘনিয়ে আসল,চারদিক হঠাৎ, শুনশান নীরবতা,রুশু আপা বিদায় বেলায় মায়ের কন্ঠে গান শুনতে চাইল,মা গান শুরু করল,রুশু আপা মায়ের বুকে ঢলে পড়ল,

Comments

    Please login to post comment. Login