রাতের নিস্তব্ধতা চারপাশকে ঢেকে রেখেছিল। চাঁদ কেবল ম্লান আলো দিয়ে ভিজে থাকা পথটিকে আলোকিত করছিল। তানভীর একা বাড়ি ফিরছিল, যার পথটি ঘন কাঁঠালবনের মধ্য দিয়ে যেত। হঠাৎ, দূরে থেকে ভীষণ সিসিটির মতো শব্দ শুনতে পেল।
প্রথমে সে ভাবল, হয়তো কেউ ব্যাটারি ফ্যান্টাসি করছে। কিন্তু প্রতিটি পদক্ষেপের সঙ্গে সঙ্গে সেই সিসিটির শব্দ আরও কাছাকাছি আসতে লাগল। তানভীর থেমে দাঁড়ালো। চারপাশ অন্ধকার। হাওয়া বইছে, কিন্তু পাতা কেউ ছুঁছে না।
হঠাৎ, সে একটি ছায়া দেখতে পেল—বড়, অস্বাভাবিকভাবে দীর্ঘ ছায়া, যা তার দিকে আসছে। তানভীরের হৃদয় ধাক্কা খাচ্ছিল। সে পিছনে ফিরে দৌড়াতে চাইছিল, কিন্তু মনে হলো যেন পায়ের তলা মাটিতে আটকে আছে।
“কে আছো?” সে কম কণ্ঠে জিজ্ঞেস করল।
কেউ উত্তর দিল না। শুধু সেই সিসিটির শব্দ—আরও ভয়ংকরভাবে।
হঠাৎ, ছায়াটি থেমে গেল। এবং একটি ঠান্ডা কণ্ঠ কেবল তানভীরের কানে গুঞ্জরিত হল, “আমি সবসময় এখানে ছিলাম। তুমি শুধু আমাকে দেখো নি।”
পরের দিন সকালে, গ্রামের লোকেরা দেখল, তানভীরের ছায়া নেই—কেবল অদ্ভুতভাবে আঁকা সিসিটির চিহ্ন মাটিতে। কেউ জানে না, তানভীর কোথায় গেল।
কিন্তু রাত হলে, সিসিটির সেই ভয়ংকর শব্দ আবার বনের ভেতর থেকে শোনা যায়।