Posts

গল্প

জাদুর বাগানের রহস্য

September 6, 2025

Shahanaz Parvin

Original Author শাহানাজ পারভীন

60
View

অধ্যায় ১: হারানো ফুলের খোঁজে

এক ছিল রাজকন্যা—তার নাম নীলাঞ্জনা। সে ছিল রাজ্যের সবচেয়ে দয়ালু মনের মেয়ে। রাজপ্রাসাদের চারপাশে ছিল এক বিশাল ফুলের বাগান। সেই বাগানের প্রতিটি ফুল যেন কথা বলতে পারত, গান গাইত, রঙ ছড়াত। কিন্তু একদিন হঠাৎ রাজ্যের সবচেয়ে মূল্যবান ফুল—“চন্দ্রকমল” হারিয়ে গেল। বলা হয়, এই ফুল ছাড়া পুরো রাজ্য অন্ধকারে ডুবে যাবে।

রাজা খুব দুঃখ পেলেন। কিন্তু রাজকন্যা নীলাঞ্জনা বলল—
“আমি খুঁজে আনব চন্দ্রকমল, কারণ এই রাজ্য আমার পরিবার।”

সে তার ছোট্ট বন্ধু পাখি টুনটুনিকে নিয়ে রওনা হলো অজানা পথে।

অধ্যায় ২: বনদেবীর উপহার

রাজকন্যা বন পেরিয়ে যেতে যেতে এক বৃদ্ধা রূপসী বনদেবীর সঙ্গে দেখা পেল। দেবী তাকে বললেন—
“পথ খুব কঠিন। তবে তোমার সাহস থাকলে তুমি ফুল খুঁজে পাবে। নাও, এই জাদুর লণ্ঠন। অন্ধকার পথ আলোকিত করবে।”

নীলাঞ্জনা লণ্ঠন হাতে নিল, আর মনে সাহস পেল। টুনটুনি খুশি হয়ে গান গাইল—
“আলো আছে, আশা আছে, ভয় কিসের!”

অধ্যায় ৩: অদ্ভুত নদীর ধাঁধা

অবশেষে তারা এক জাদুর নদীর ধারে পৌঁছাল। নদীটা নিজে নিজেই কথা বলল—
“আমাকে পার হতে হলে ধাঁধার উত্তর দাও—
যে সবসময় পাশে থাকে, তবু দেখা যায় না—সে কে?”

নীলাঞ্জনা কিছুক্ষণ ভেবে হাসি দিয়ে বলল—
“ওটা হলো ভালোবাসা।”

নদী খুশি হয়ে সরে গেল, আর তারা নদী পেরিয়ে যেতে পারল।

অধ্যায় ৪: চন্দ্রকমলের আলো

অবশেষে এক গুহার ভেতর তারা পেল চন্দ্রকমল ফুল। ফুলটাকে পাহারা দিচ্ছিল এক কালো ড্রাগন। রাজকন্যা ভয় পেল না, সে বলল—
“ড্রাগন, তুমি খারাপ নও। তুমি একা বলে রাগী হয়ে আছো।”

নীলাঞ্জনা তার হাত বাড়িয়ে দিল। আশ্চর্যজনকভাবে ড্রাগনের চোখ ভিজে উঠল, আর সে ফুলটা রাজকন্যাকে দিয়ে দিল।

অধ্যায় ৫: রাজ্যে ফিরে আসা

নীলাঞ্জনা ফুল নিয়ে রাজ্যে ফিরল। সঙ্গে সঙ্গে অন্ধকার সরে গিয়ে আলো ছড়িয়ে পড়ল। রাজা খুশি হয়ে বললেন—
“আমার মেয়ে শুধু রাজকন্যা নয়, সে আমাদের রক্ষক।”

সেদিন থেকে রাজ্যের মানুষ বুঝল—সত্যিকারের শক্তি হলো দয়া, সাহস আর ভালোবাসা।

Comments

    Please login to post comment. Login

  • Chameli Akter 2 months ago

    একেই বলে রহস্য