দিনটি রবিবার। দুপুরে গোসল নামাজ শেষ করে খাবার খেতে বসলাম।বাবা খাবার খেয়ে আমাদের বাসার সামনের রাস্তায় হাঁটা হাঁটি করছিলো । এই সময় রাস্তার থেকে চিৎকার আসছিলো আমি খাবার রেখে তাড়াতাড়ি বের হয়ে রাস্তার দিকে যাই আমি ভাবছি বাবার কিছু হয় নাই তো ।পরে দেখি বাবার আমাদের গেটের পাশে দাঁড়িয়ে আছে । অনেক গুলো মানুষ দৌড়ে দৌড়ে যাচ্ছে।আমি বাবাকে বললাম কি হয়েছে এখানে বাবা ? বাবা বললো গাড়ি চুরি হয়ে গেছে তাই চোরকে ধরতে গেছে সবাই। তার পর আমি রুমে এসে খাবার শেষ করি ।তিনটা থেকে আমি কিছু বাচ্চাদের প্রাইভেট পড়াই তো সে বাচ্চারা পড়তে আসে ।আমি মাত্র তাদের কে বলি আজকে কি কি পড়া দিছে তোমাদের ক্লাসে । এই সময় আবার চিৎকার আছে রাস্তা থেকে এই বার অনেক জোরে চিৎকার আসে ।আমি এবং প্রাইভেটের বাচ্চারা তাড়াতাড়ি বের হয়ে আমাদের গেটের সামনে যাই । দেখি অনেক গুলো মানুষ একটা চোরকে এনে কয়েকটা মাইর দিয়ে দোকানের ভিতর বেঁধে রাখে । পাঁচ দশ মিনিটের মধ্যে আরেকটা চোরকে ধরে আনে । রাস্তার মধ্যে চোরকে রেখে যে যা পারছে ইচ্ছা মত চোরকে মারছে । চোর টা মা মা করে চিৎকার করছে । চোর টার মাইর দেখে আমার কেন জানি না অনেক খারাপ লাগছিলো ।চোরকে মাইর দেওয়া দেখে আমার হাত পা কাঁপতে থাকে।অনেক সময় ধরে মারে চোরকে ।এর পর রাজনৈতিক দলের লোকেরা এসে বিচার করে এবং পুলিশ এসে নিয়ে যায়। আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে চোর ধরার দুই ঘণ্টা পর পুলিশ আসে ।নিয়ে যায় চোরদের কে। চোর টার চিৎকারের আওয়াজ আমার কানে বাজতে থাকে সারা রাত আমি ঘুমাইতে পারি নাই । আমার মনে হচ্ছিল আমার হাত পায়ের শক্তি চলে গেছে।