রমিজ মিয়া সরল মানুষ,
ধুসর কাথার রঙ্গীন ফানুস।
বলতো যে যা
করতো সে তা।
হাসি মুখে চলতো সবে,
বলতো বউ বুঝবে কবে,
মানুষ সবে দিচ্ছে ফাকি
মিষ্টি কথায় কাজে ডাকি।।
কাজের পরে কাজ করে যায়
খালি হাতে বাড়ি ফিরে যায়।
দাওনারে বউ ভাতটি বেড়ে
খিদায় পেট যায় যে চড়ে।
খিট-খিটিয়ে দাত তুলে
ভাত কই পাব বউ বলে.।
মানুষ বাড়ি কাজে গেলে,
ভাত দিতাম চাল নিয়ে এলে।
একি কোন কথার কথা,
মানুষ সবে পাবে ব্যথা।
একটু যেন কাজ করেছি
তাই জন্য চাল চেয়েছি!
হেসে বলে রমিজ মিয়া
কোন পাগলীরে করছি বিয়া
আমি না হয় পাগলি হলে,
কন্যা যে খিদায় মলে।
তার দিকে তো একটু চেয়ে
আসতে না হয় কিছু নিয়ে।
রমিজ কয় হেসে হেসে
আল্লা তারে ভালবাসে
মানুষকে যে আপন করে
দে না বউ ভাতটি বেড়ে।
বউ বলেছে হইলো মরণ,
বেহেশত হল স্বামির চরণ
তাতে কি আর পেটটি ভরে??
ওরে সুখি দেত ভাতটি বেড়ে।
সুখির মুখ সুখে হাসে
বাপজানরে খুব ভালবাসে।
বাপটি তার ভোলা ভালা
চাইনা কভু করমা পোলা।
যে যা বলে তাই সে করে
মানুষকে নেয় আপন করে।
এমন বাপ ভাগ্যে মেলে
যেমন বাপ তেমন মেয়ে।
দিন গুলো বেশ যাচ্ছিল ভাল,
হঠাত রমিজ মিয়ার ব্যম হল।
এই ব্যম কি সেই ব্যম
কিচ্ছুতে না কিচ্ছু হল।
সুখি সবার কাছে গেল,
বাপটা তার বড় ভাল ছিল।
সবার জন্য করতো কাজ,
বিপদে সবাই দাঁড়াবে আজ
মানুষ বড়ই আজব জিনিস
সুখি কি তুই তাদের চিনিস?
বলেছিল মা কষ্ট পেয়ে
কি হবে সবার কাছে যেয়ে।
দুঃখ কষ্টে রমিজ মলো
ভাল মানুষ আর কি পেল??
পাড়ার সবে ছুটে এল
আহারে রমিজ কিভাবে মলো??
মানুষ বড় ভাল ছিল
দীর্ঘশ্বাসে বাতাস ভারি হল।
কেউ বলল আমায় বলতিস
বলল কেউ হেতায় যেতিস।
সুখির বুক ফেটে কান্না এলো
চোখের জল কোথায় গেল।
শুকিয়ে গেছে চৈত্রের মত
আহা বেলা হল কত,।
মুর্দা যে কষ্ট পাবে,
কটার দিকে মাটি হবে।
কান্না করে আর কি হবে??
যে যাবার সে চলে যাবে।
দাপন কাফন সবি হল,
গ্রাম বাসি চাদা দিল।
৭ দিন পর খানাও হল,।
রমিজের আত্না মুক্তি পেল।
সব কিছু তা তেমন রইলো
কদিন আগেও যেমন ছিল।।
সুখির নামটি কেবল মিছা হল।