গল্প :রহস্যে ঘেরা চারদিক
লেখিকা : আফরিন ইসলাম মাইশা
পূর্ব :০১
শুন বোন তোর জন্য ওই বাড়িটার ভিতরে হয় তো নিরাপদ কিন্তু বাহিরে বিপদ তর জন্য।
সব সময় সাবধানে থাকবি।
ঠিকমতো পড়াশোনা করবি।
আম্মুর কথা মেনে চলবি।
কোনদিন যদি আমাদের দেখা হয় তহলে আমি তরে সব কিছু বলবো।
ইতি
তোর প্রিয় বড় বোন
“এই চিঠিটা দিনে তিন চার বার করে পড়ি আমাকে খুব ভাবায়, এই চিঠি টার প্রথম লাইন টা, কিন্তু বুঝতে পারি না”
এই মেহরিন, মেহরিন
তুই কোথায়?
আম্মুর ডাকে আমি ভাবনায় থেকে বের হয়ে আম্মুর কাছে যাই
জি আম্মু বলেন।
কোথায় ছিলি তুই?
ঘরে পরতে ছিলাম।
"নদীর পাড়ে জা ফারুক মাঝি শাপলা নিয়ে আইবো ওর কাছে থিকা নিয়ে আয়, সাথে সারাকে ও নিয়ে জা।
আচ্ছা।
আর বোরখা পরে জাবি ভালো করে মুখে ডেকে জাবি।
আচ্ছা।
বড় ভাবি বড় মাইয়া ডায় কপাল পুড়ছে এহন ছোট মাইয়া ডার কপাল পড়ার আগে বিয়ে দিয়ে দাও।
আমি চলে যাইতে ছিলাম মিজু চাঁচির কথা শুনে দাঁড়িয়ে যাই কিছু ভেবে আবারো চলে যাই কারণ আমারে দেখলেই বিয়ে কথা কইবোই সে।
আমার চাচা দুই জন ফুপি একজন আমার আব্বু বড় নেহাল তালুকদার, তারপর মিজু চাচা এহসান তালুকদার, ছোট চাচা শিহাব তালুকদার, সাবার ছোট ফুপি হুমাইরা।
ঘরে যেয়ে আমি বোরখা পরি হিজাব বেঁধে নিকাপ পরে , বের হয়ে দাদীর( ফুলভানো) রুমে জাই, "দাদীও আমাকে দেখলে কথা সুনাই, সারা ওই রুমে, তাই আমি ওই রুমে গেছি তা না হলে গেতাম না, আর সারা হলো ফুপির মেয়ে।
কিরে এই দুপুরে তুই কই যাস? তর না বাইরে জাওয়া নিষেধ?
দাদী শাপলা আনতে জাইতাছি আম্মু জাইতে বলছে।
তরে এই দুপুরে শাপলা দিবো কে?
ফারুক চাচা।
কিয়ের লাইগা জে মাইয়া দের বাইর হতে দেয়?
আমি আর সারা নদী পাড়ে দাঁড়িয়ে আছি তখনই মেম্বরের ছোট ছেলে রিয়াদ খান আসে, “আসলে সে আমার সাথে দেখা করতে এসেছে মনে হয়, ”কারণ আমরদের মাঝে প্রেমের সম্পক আছে, সে আমাকে ভালোবাসে, আমি ও তারে খুব ভালো বাসি এটা সারা ও জানে।
এখানে কি করো শায়রা? (আমার পরো নাম হলো মেহরিন তালুকদার শায়রা)
ফারুক চাচার জন্য দাড়িয়ে আছি।
কেনো?
শাপলা নেওয়া জন্য। আজকে সকালে না ঢাকা জাওয়ার কথা আপনে এখন এখানে?
হুম বিকেলে জামু।
(একটু মজার ছলেই বলবো রিয়াদ)
চেয়ারম্যান শুশুরের সাথে দেখা করা লাগবে তাই আছি।
কেন?
একটু কাজ আছে।
“আমাদের কথার মাঝে ফারুক চাচা চলে আসে”
আসসালামু আলাইকুম ফরুক চাচা।
অলাইকুম আসসালাম রিয়াদ সাহেব।
তো ছোট সাহেব গ্রামে আছো কত দিন?
আজকে বিকালে চলে জামু।
আমাকে দেখে ফারুক চাচা বলে-
মেহরিন মা আজকে তোমারা,আরাফ কই? নেও শাপলা।
শাপলা নিয়ে আমি বললাম -
আব্বু গো সাথে গেছে আরাফ।
তারপর আমরা চলে আসি।