পর্ব- ০১
বাবা দেখো আকাশে কতগুলো তারা। কি সুন্দর দেখায়। আচ্ছা বাবা এতগুলো তারার মাঝে একটা মাত্র চাঁদ কেনো। হুম। এই যে বিশাল আকাশে যা কিছু দেখো সবই উপর ওয়ালার ইচ্ছায় হয়। আচ্ছা তুমি যখন স্কুলে যাও, তোমাদের ক্লাসে অনেক শিক্ষার্থী রয়েছে। তার মধ্যে কতজন শিক্ষক আছে। ফটাফট উত্তর দিয়ে বলে উঠলো- বাবা শিক্ষক তো একজন থাকে। হুম। শত শিক্ষার্থী মাঝে যেমন একজন শিক্ষক থাকে ঠিক তেমন হাজারো তারার মধ্যে একটি মাত্র চাঁদ থাকে। এটাই মহা আকাশের সৌন্দর্য্য। আচ্ছা এখনো ভেতরে চলো। সকালে উঠে ফের স্কুলে যেতে হবে। হ্যাঁ বাবা। চলো ঘুমাতে যাই। ভোরবেলা ইদানিং পাখিগুলোর অনেক কিচির মিচির আওয়াজে ঘুম ভেঙ্গে যায়। চলো বাবা দিহান তোমাকে স্কুলে দিয়ে আসি। তারপর আবার আমার অফিসে যেতে হবে। ঠিক আছে, চলো বাবা। স্কুলের গেটের কাছাকাছি যাইতেই স্কুল শিক্ষকের কাছে দেখা। জ্বি খবির সাহেব ভালো আছেন। তারই জবাবে জ্বী আমি ভালো। আপনি ভালো আছেন তো। জ্বি আলহামদুলিল্লাহ। যাক ভালোই হলো আপনাকে গেটের কাছে পেয়ে। আমার আর ভিতরে যাওয়া লাগবে না। ঐ দিকে অফিসের সময়টা বেড়েই চলছে। আচ্ছা ঠিক আছে। খবির সাহেব আপনি দিহানকে রেখে যেতে পারেন। ঠিক আছে। ও হ্যা স্যার। আরেকটা কথা, জ্বি বলুন- দিহান কিন্তু ইদানিং অনেক দুষ্টামী করছে বাসায় পড়তেই চায় না। একটু বেশী করে খেয়াল রাখবেন। ঠিক আছে। স্কুল ফেরার সাথে সাথেই খবির সাহেবের ফোনে টিং টিং টিং আওয়াজে ফোনটি বেজে উঠলো। হ্যালো জ্বি ভাই। আমি এখনই অফিসে আসতেছি। ওকে জলদি করে আসেন। এমনেতেই অফিসে অনেক পেন্ডিং কাজ জমে আছে। কাজ শেষে আবার মিটিং। ঠিক আছে ভাই আসতেছি তো। বলার সাথে সাথে ওমনেতেই কলটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে কলটা কেটে দিলো। অফিসের গেটে ঢুকতে না ঢুকতেই আবার কল বেজে উঠলো। হ্যালো! শোন বাসায় আসায় সময় দিহানের জন্য কলা-রুটি নিয়ে আইসো কিন্তু। তারই উত্তরে খবির সাহেব বললো- আমি তো মাত্রই অফিসে ঢুকলাম। ঠিক আছে রাখি। অফিসে কিছু সময়ের পরে খবির সাহেব এবং হাতেম সাহেব ফ্রি-মুডে একটু আলাপ চরিতায়। তো খবির সাহেব দিনকাল কেমন চলছে। এই তো ভাই মোটামুটি। এই অফিস থেকে বাসায়। তারপর বাজারে। সকালে আবার ছেলেকে স্কুলে দিয়ে আসতে হয়। এই ভাবেই চলছে। তো আপনার? কতক্ষণ দীর্ঘশ্বাস টেনে হাতেম সাহেব বললো- আর বইলেন না ভাই। আপনার ভাবিকে বললাম ১ম সন্তানটা মারা যাওয়ার পর আরেকটা সন্তান নিতে কিন্তু কে শোনে কার কথা। খবির সাহেব বাসায় এসে কলিং বেল বাজানোর সাথে সাথেই দিহান দরজাটা খুলে দিলো। খোলার সাথে সাথেই বাবা তুমি আসছো। বাবা ও ছেলের কিছুক্ষণ খুনসুটি। রাতের বেলা খাবার শেষে সবাই শুয়ে পড়লো। এরই মধ্যে শুয়ে শুয়ে খবির সাহেব দিহানকে বললো বাবা দিহান, তুমি এই পৃথিবীতে কাকে সবচেয়ে বেশী ভালোবাসো?
২য় পর্ব খুব শিঘ্রই আসছে……