অর্পিতা আর অর্ণব – দুজনার পরিচয় হয়েছিল কলেজ জীবনে। অর্ণব ছিল ভীষণ চুপচাপ ছেলে, কারো সাথে তেমন কথা বলত না। কিন্তু অর্পিতা একদিন লাইব্রেরিতে গিয়ে হেসে বলেছিল—
— “এই বইটা কি তোমার লাগবে? নাকি আমি নিয়ে যাই?”
অর্ণব তাকিয়ে ছিল অর্পিতার চোখের দিকে। সেই চোখে যেন একটা অদ্ভুত আলো—যেন রাতের আকাশ ভরা অসংখ্য তারা। সেদিন থেকে অর্ণবের বুকের ভেতর কিছু একটা নড়েচড়ে উঠেছিল।
দিনগুলো এগোতে লাগল। ক্লাস শেষে অর্ণব অর্পিতাকে নিয়ে হাঁটত কলেজের ছাদের উপর। আকাশের দিকে তাকিয়ে অর্পিতা বলত—
— “তুমি জানো, আমি সবসময় চাই আমার জীবনটাও যেন আকাশের মতো হোক—খোলা, মুক্ত।”
অর্ণব মুচকি হেসে জবাব দিত—
— “তাহলে আমি তোমার আকাশ হবো… তুমি যদি আমার পাশে থাকো।”
অর্পিতা থেমে গিয়ে অর্ণবের দিকে তাকিয়েছিল। ঠোঁটে হালকা হাসি, চোখে অশ্রু ঝিকিমিকি। সে ফিসফিস করে বলল—
— “তুমি আকাশ হলে, আমি তোমার মেঘ হবো… তোমার বুকেই ভেসে থাকব চিরকাল।”
সেদিন থেকে অর্ণব আর অর্পিতা আলাদা হয়নি।
তাদের প্রেম ছিল অনেকটা আকাশ আর মেঘের মতো—একসাথে থেকেও দূরত্বে, কিন্তু হৃদয়ে সবসময় জড়ানো।