Posts

চিন্তা

নির্বাচনে মাঠে থাকবেন তারেক রহমান...

October 6, 2025

ফারদিন ফেরদৌস

65
View

BBC News বাংলাকে দেয়া তারেক রহমানের ক্ষাৎকারের প্রথম পর্ব দেখলাম। আগামী নির্বাচনে মাঠে থেকে তিনি নির্বাচন করবেন বলে জানালেন। এটি বিএনপি নেতাকর্মীদের জন্য প্রেরণাদায়ী হতে পারে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বিশ্বাস করেন দেশে দ্রুত নির্বাচন হলে দ্রুতই স্থিতিশীলতা ফিরবে। জোটবদ্ধ নির্বাচনের ব্যাপারে তিনি বললেন, কমবেশি সকলকে নিয়ে রাষ্ট্র গঠন করতে চান। তবে কারো সাথে সংঘবদ্ধ হওয়ার স্পষ্ট পথনকশা তিনি জানাননি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর রাষ্ট্রসংস্কার ও ওই আন্দোলনে জড়িত আহত ও নিহতদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, সম্মান জানানো এবং চিকিৎসা নিশ্চিত করা জরুরি বলে মনে করেন তারেক রহমান।

দেশে বৈধ আইন আছে, সংবিধান যেহেতু এখনো আছে -সেটি মেনে জামায়াতের রাজনীতি করবার অধিকার আছে জানিয়ে তারেক রহমান বলেন, গেল ১৭ বছরের সকল বেআইনি কাজের জবাবদিহি যেমন আ.লীগকে করতে হবে তদ্রূপ একাত্তরের স্বাধীনতাবিরোধী ভূমিকার জবাব জামায়াতের নিজেদেরকেই দিতে হবে।

তাঁর দলের অবস্থান দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে থাকবে জানিয়ে বলেন, সমাজে অপরাধ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে বড় অবস্থান নেয়ার ক্ষমতা রাষ্ট্রযন্ত্রের, পুলিশিং করা দলের কাজ নয়।

তাঁর দল নির্বাচনে জিতলে তিনি প্রধানমন্ত্রী হবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তারেক রহমান বললেন, এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ নেবেন। আমাদের রাজনীতি জনগণের জন্য।

পুরো সাক্ষাৎকারে তারেক রহমান নিজেকে দলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। এটি তার বয়সোচিত ম্যাচিওরিটি। তিনি বলেছেন, আগামী নির্বাচনে এমন ব্যক্তিদের তিনি মনোনয়ন দিতে চান যিনি দলের নেতৃত্ব নয়, বরং সর্বমানুষের প্রতিনিধি হবেন, যিনি গণসম্পৃক্ত এবং এলাকার মানুষের সমস্যা সমাধানে সক্ষম।

খালেদা জিয়া আগামী নির্বাচনে প্রত্যক্ষভাবে থাকবেন কিনা -এটি তাঁর শারীরিক সক্ষমতার ওপর নির্ভর করবে বলে জানান মিস্টার রহমান।

দল হিসেবে আ.লীগের রাজনীতি নিষিদ্ধ চান কিনা, এই প্রশ্নের জবাবে তিনি স্পষ্ট করে জানালেন, গতবছর আগস্ট পূর্ববর্তী আ.লীগের কৃতকর্ম বিবেচনায় ব্যক্তি বা দল‌ হিসেবে আ.লীগার কিংবা আ.লীগ এইদেশে রাজনীতি করতে পারে কিনা -সেই সিদ্ধান্তও নেবে দেশের জনগণ। তবে লাস্ট রেজিমের বিচার দেশের প্রচলিত আইন মেনে হওয়া উচিত বলে তিনি মনে করেন। সেইসাথে সারাদেশের বিএনপি কর্মী ও তাঁর নিজের পরিবারের প্রতি চাপিয়ে দেয়া জুলুম বিশেষকরে তাঁদের দুই ভাইয়ের বালকবেলার স্মৃতিবিজড়িত সেনানিবাসের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ এবং জিয়া অরফানেজ মামলায় তাঁর মা দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দি রেখে উপযুক্ত চিকিৎসার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করবার কথা দর্শকদের মনে করিয়ে দেন‌।

স্পর্শকাতর ও বিব্রতকর বিষয় যেমন ১০ ট্রাক অস্ত্র কিংবা ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা বিষয়ে প্রশ্ন ছিল না। মনে করি আ.লীগের কৃতকর্ম ওইসব প্রশ্নকে এখন অপ্রাসঙ্গিক করে দিয়েছে।

অনেকদিনের নির্বাসিত জীবনে এই প্রথম বাংলাদেশ তথা বাংলা ভাষাভাষীকেন্দ্রিক গণমাধ্যমে ইন্টারভিউ দিলেন তারেক রহমান। প্রসঙ্গক্রমে কিঞ্চিত হাসলেনও। আগের চেয়ে অনেকটা নির্ভার মনে হলো তাঁকে।

দেশের রাজনীতি রাজনীতিবিদদের কাছে থাকুক,
আগের তুলনায় সম্ভবপর সবচেয়ে বেটার রাজনীতি করুক এখানকার রাজনীতিবিদরা এবং রাজনৈতিক সংস্কৃতি বদল সভ্যতা, মানবতা ও দেশাত্মবোধের পক্ষে থাকুক -এই প্রত্যাশা আমাদের সবার। শুভ কামনা মিস্টার তারেক রহমান।

লেখক: সংবাদিক  
৬ আগস্ট ২০২৫

Comments

    Please login to post comment. Login