বিবিসি বাংলাকে দেয়া তারেক রহমানের সাক্ষাৎকারের দ্বিতীয় পর্ব শুনলাম। এখানকার সবচেয়ে সিগফিক্যান্ট পয়েন্ট হলো প্রাণ-প্রকৃতি ও জীববৈচিত্র্যের প্রতি ভালোবাসা। আলোচনায় কন্যা জাইমা রহমানের আদুরে বিড়াল 'জিবু'র প্রসঙ্গ তোলেন। বলেন, 'এটা আমার মেয়ের বিড়াল। আমরা ওকে জিবু বলে ডাকি। ওকে আমরা যখন নিয়ে এসেছিলাম, তখন বয়স ছয় সপ্তাহ ছিল, এখন প্রায় সাত বছর। তো বিড়ালটি এখন অবশ্য আমাদের সবারই হয়ে গেছে। আমরা সবাই ওকে আদর করি।'
প্রসঙ্গক্রমে তারেক রহমান জানান, তাঁর আম্মা খালেদা জিয়া বাসায় হাঁসমুরগি, ছাগল, কবুতর পালতেন। বরিশাল থেকে আনা একটা ময়নাও ছিল -যেটি আবার বরিশালের ভাষায় কথা বলতে পারত। কাজেই প্রাণ-প্রকৃতির সাথে তাদের দুই ভাইয়ের সখ্য সেই আবাল্যেই। মনে করিয়ে দিলেন, মানুষ সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ জীব, তবে প্রকৃতির সাহচর্য ছাড়া তার কানাকড়িও মূল্য নেই।
কথা বলেন, ঢাকার পরিবেশ দূষণ নিয়ে। মোট ভূমির ২৫ ভাগ বনভূমি থাকার কথা থাকলেও তা নেমে গেছে ১২/১৩ ভাগে। পরিবেশ নিয়ে তারেক রহমান বেশ কনসার্ন অনুমান করা গেল।
দ্বিতীয় পর্বে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়েও কথা বলেছেন, তারেক রহমান। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যম ও সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্দ্বিধায় নিজের মত প্রকাশ করা যাবে -তবে খেয়াল রাখতে হবে সেই মত যেন অন্যের ক্ষতির কারণ না হয়।
লণ্ডনে তারেক রহমান পারিবারিক বন্ধনে থেকেছেন। যেটি তাঁকে দায়িত্বশীল হতে শিখিয়েছে। সতের বছরের নির্বাসিত জীবন শেষে তারেক রহমানের সামনে বিরাট সুযোগ এসেছে -ঠিক ইউরোপীয় কল্যাণরাষ্ট্রের লিডারদের মতো শাসক হয়ে উঠবার। এবং সেটি যদি হয়, তাহলে উল্টো চিন্তাধারায় বিশ্বাসী অন্য সবার খবরই আছে।
লেখক: সাংবাদিক
৭ অক্টোবর ২০২৫