পিপলস রিপাবলিক অব চায়না — সংক্ষেপে চায়না।
আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্রের মূল ভূখণ্ডের বাইরে সবচেয়ে বড় মার্কিন সামরিক ঘাঁটি চীন থেকে মাত্র ৪০০ কিলোমিটার দূরে - দক্ষিণ কোরিয়ায়। মাত্র একটি নয় — পুরো দক্ষিণ কোরিয়া জুড়ে ছড়িয়ে আছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৭৩টি সামরিক বিমান, নৌ এবং সেনাঘাঁটি - অবিশ্বাস্য এক ব্যাপার!
শুধু দক্ষিণ কোরিয়া নয় — চীন থেকে প্রায় ৬০০ কিলোমিটার পূর্বে, প্রশান্ত মহাসাগর থেকে পূর্ব চীন সাগরের মুখ পর্যন্ত ছড়িয়ে থাকা জাপানের দ্বীপগুলোতে রয়েছে ১২০টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি। আরও দক্ষিণে, দক্ষিণ চীন সাগরের তীরে অবস্থিত ফিলিপাইনে সক্রিয় রয়েছে আরও ৯টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি।
সবগুলো ঘাঁটিই কিন্তু চীনের কাছাকাছি যুক্তরাষ্ট্রের যেসব মিত্র দেশগুলো রয়েছে সেখানে অবস্থিত। এই ঘাঁটিগুলোর মাধ্যমেই পুরো প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে চলেছে। আবার ভারত মহাসাগরের দিকে ভারতের সঙ্গে নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের মাধ্যমেও যুক্তরাষ্ট্র তার উপস্থিতি জোরদার করছে — যেমন কোয়াড (QUAD) জোট।
পশ্চিম দিকে রয়েছে চীনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মালাক্কা প্রণালী (Malacca Strait), যার মধ্য দিয়ে চীনের মোট বাণিজ্যের প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ সম্পন্ন হয়। বোঝাই যাচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তার সামরিক ঘাঁটি ও নিরাপত্তা অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আসলে চীনের উপর নজরদারি করতে চায়।
চীনকে ঘিরে রাখার এই কৌশলের নাম “আইল্যান্ড চেইন স্ট্র্যাটেজি” (Island Chain Strategy)। এই পরিকল্পনার অধীনে যুক্তরাষ্ট্র প্রশান্ত মহাসাগরজুড়ে তিনটি স্তরে তাদের সামরিক বাহিনী মোতায়েন করেছে।

প্রথম স্তরের নাম ফার্স্ট আইল্যান্ড চেইন (First Island Chain)। এই শৃঙ্খলটি শুরু হয়েছে উত্তর জাপানের কুরিল দ্বীপপুঞ্জ (Kuril Islands) থেকে, তারপর রিউকিউ দ্বীপপুঞ্জ (Ryukyu Islands) হয়ে তাইওয়ান, উত্তর ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ অতিক্রম করে বোর্নিও (Borneo) দ্বীপ পর্যন্ত বিস্তৃত। মানচিত্রে দেখলে বোঝা যাবে যে, ফার্স্ট আইল্যান্ড চেইনের অধিকাংশই এমন সমুদ্রসীমায় অবস্থিত, যেগুলোর ওপর চীনও তার সার্বভৌমত্ব দাবি করে।

পূর্ব চীন সাগর ও দক্ষিণ চীন সাগরের দ্বীপগুলো “চোক পয়েন্ট” (Choke Points) হিসেবে কাজ করে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র স্থাপন করেছে বড় ও ছোট—উভয় ধরণের ভারী সামরিক ঘাঁটি।
পেন্টাগনের সংজ্ঞা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থিত যেকোনো সামরিক স্থাপনা যদি ১০ একরের বেশি এলাকা জুড়ে থাকে, যেখানে যদি ২০০-র বেশি সামরিক কর্মী নিয়োজিত থাকে এবং মূল্য যদি ১ কোটি (১০ মিলিয়ন) ডলারের বেশি হয়, তবে সেটি “বড় ঘাঁটি” (Large Base) হিসেবে গণ্য হবে। বিপরীতে, ১০ একরের কম এলাকা এবং ১ কোটি ডলারের কম মূল্যের স্থাপনাগুলোকে বলা হয় “ছোট ঘাঁটি” (Small Base) বা “লিলি প্যাড” (Lily Pad)।
এই সংজ্ঞা অনুযায়ী, জাপানে যে ১২০টি মার্কিন সামরিক ঘাঁটি রয়েছে যাতে অবস্থান করছে ৫৩,০০০-এরও বেশি মার্কিন সেনা - তার মাঝে ৮৬টি ই “বড় ঘাঁটি” হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ, আর বাকিগুলো ছোট।। জাপানেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মার্কিন ঘাঁটির রয়েছে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এই ঘাঁটিগুলোর অর্ধেকেরও বেশি ওকিনাওয়া দ্বীপে অবস্থিত, যা কিনা জাপানের মোট ভূখণ্ডের মাত্র ০.৬ শতাংশ। এখানে চীনকে প্রতিরোধ করার উদ্দেশ্যে যুক্তরাষ্ট্র সর্বাধুনিক যুদ্ধজাহাজ ও মোতায়েন করে রেখেছে।
বিশ্বের বৃহত্তম বিদেশি মার্কিন নৌঘাঁটিটিও জাপানে অবস্থিত - ইয়োকোসুকা নৌবন্দর (Yokosuka Naval Port)। এখানে একসঙ্গে ৬০ থেকে ৭০টি জাহাজ নোঙর করতে পারে এবং রয়েছে জাহাজ মেরামতের সুবিধা। এই ঘাঁটিটি কোরিয়ান এবং ভিয়েতনাম যুদ্ধেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিল।
১৯৭৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত সর্বদা অন্তত একটি মার্কিন এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ নিয়মিত অবস্থান করেছে। সম্প্রতি, প্রায় এক দশক অবস্থানের পর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে গেছে USS Ronald Reagan এবং তার স্থানে এসেছে USS George Washington।
জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি হলো কাদেনা এয়ার বেস (Kadena Air Base), যা ওকিনাওয়া প্রিফেকচারে অবস্থিত। এই ঘাঁটি আবার পূর্ব চীন সাগরের কাছাকাছি, যেখানে জাপান ও চীনের মধ্যে সেনকাকু দ্বীপপুঞ্জ (Senkaku Islands) নিয়ে বিরোধ রয়েছে।
ফার্স্ট আইল্যান্ড চেইন স্ট্র্যাটেজির আরেকটি প্রধান উদ্দেশ্য হলো চীনের বিরুদ্ধে তাইওয়ানকে সহায়তা করা। চীন “ওয়ান চায়না পলিসি” (One China Policy)-এর অধীনে তাইওয়ানকে তার নিজস্ব ভূখণ্ডের অংশ হিসেবে মনে করে এবং ভবিষ্যতে দ্বীপটিকে সংযুক্ত (annex) করার পরিকল্পনা করে রেখেছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র অনুসরণ করে “স্ট্র্যাটেজিক অ্যামবিগুইটি” (Strategic Ambiguity) বা কৌশলগত অস্পষ্টতার নীতি — যেখানে তারা “ওয়ান চায়না পলিসি” স্বীকার করলেও, তাইওয়ানের ওপর চীনের সার্বভৌমত্ব স্বীকৃতি দেয় না। যুক্তরাষ্ট্র আবার তাইওয়ানকে নিয়মিত অস্ত্র সরবরাহও করে যাচ্ছে।
জাপানে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম সেনা ঘাঁটি হলো ক্যাম্প জামা (Camp Zama), যা দেশের সবচেয়ে বড় মার্কিন নৌঘাঁটির উত্তর-পশ্চিমে এবং টোকিও থেকে প্রায় ৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। এই ক্যাম্পে প্রায় ২,০০০ মার্কিন সেনা অবস্থান করছে এবং এখানে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর বিভিন্ন ব্যাটালিয়ন মোতায়েন রয়েছে।
যদিও ফার্স্ট আইল্যান্ড চেইনের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানে কোনো সেনা মোতায়েন করেনি, তবুও আগেই উল্লেখ করা হয়েছে — তারা দ্বীপটিকে অস্ত্র সরবরাহ করছে।

ফার্স্ট আইল্যান্ড চেইনের পরবর্তী দেশ হলো ফিলিপাইন, যা দক্ষিণ চীন সাগরের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত। এই সামুদ্রিক অঞ্চলটি চীন, তাইওয়ান, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে বিরোধপূর্ণ। চীন “নাইন-ড্যাশ লাইন” (Nine-Dash Line)-এর ভিত্তিতে পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের ওপর সার্বভৌমত্ব দাবি করে।
সম্ভাব্য সংঘাতের জন্য প্রস্তুতি নিতে যুক্তরাষ্ট্র ফিলিপাইনে নয়টি অস্থায়ী সামরিক ঘাঁটি স্থাপন করেছে। দক্ষিণ চীন সাগরে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র গভীরভাবে উদ্বিগ্ন, কারণ এই অঞ্চলটি ওয়াশিংটনের জন্য অর্থনৈতিকভাবে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ — প্রতিবছর বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক পণ্য এই সাগরপথ দিয়ে পরিবাহিত হয়।
যুক্তরাষ্ট্র চীনের এই ভূখণ্ড দাবি অবৈধ বলে মনে করে এবং পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এই সাগরের কাছাকাছি নিয়মিত নৌবহর মোতায়েন রাখে। বর্তমানে USS Carl Vinson নামের মার্কিন বিমানবাহী রণতরী ফিলিপাইন সাগরে অবস্থান করছে, যা সরাসরি দক্ষিণ চীন সাগরের সঙ্গে সংযুক্ত।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র প্রায়ই চীনের নিয়ন্ত্রণাধীন দ্বীপগুলোর কাছাকাছি এলাকায় “ফ্রিডম অফ নেভিগেশন অপারেশনস” (Freedom of Navigation Operations – FONOPS) পরিচালনা করে, যার ফলে উভয় দেশের নৌবাহিনী প্রায়ই মুখোমুখি হয়ে পড়ে।

দ্বিতীয় আইল্যান্ড চেইন (Second Island Chain) শুরু হয়েছে জাপানের বোনিন দ্বীপপুঞ্জ (Bonin Islands) থেকে, যা গুয়াম (Guam) হয়ে পশ্চিম নিউগিনি (Western New Guinea) পর্যন্ত বিস্তৃত। এই চেইনে যুক্তরাষ্ট্র সবচেয়ে বেশি সেনা মোতায়েন করেছে গুয়াম দ্বীপে, যা একটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্ন্তভুক্ত নয় এমন অঞ্চল (Unincorporated US Territory)।
এই দ্বীপটি এতটাই সামরিকীকৃত যে, মাত্র ৫৪৯ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে ৫৪টি সামরিক ঘাঁটি অবস্থিত — অর্থাৎ গড়ে প্রতি ১০ কিলোমিটারে একটি মার্কিন ঘাঁটি রয়েছে।

তৃতীয় আইল্যান্ড চেইন (Third Island Chain) শুরু হয়েছে মিডওয়ে দ্বীপপুঞ্জ (Midway Islands) থেকে, সেখান থেকে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জ (Hawaiian Islands) এবং আরও দক্ষিণে ফিজি (Fiji) ও নিউজিল্যান্ড (New Zealand) পর্যন্ত বিস্তৃত। এই চেইনের অন্তর্ভুক্ত মিডওয়ে অ্যাটল (Midway Atoll) ও হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জে যুক্তরাষ্ট্র নৌঘাঁটি, জ্বালানি সরবরাহ কেন্দ্র এবং বিমানঘাঁটি স্থাপন করেছে।
এই অঞ্চলে অবস্থিত পার্ল হারবার নৌঘাঁটি (Pearl Harbor Naval Base) হলো প্রশান্ত মহাসাগরে যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম নৌঘাঁটি, যেখানে পারমাণবিক সাবমেরিন ও উন্নত যুদ্ধজাহাজ উভয়েই মোতায়েন রয়েছে। এই ঘাঁটিটি ঐতিহাসিকভাবেও গুরুত্বপূর্ণ, কারণ ১৯৪১ সালের ডিসেম্বরে জাপান এই ঘাঁটিতে হামলা চালানোর পরই যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে।
এই তিন স্তরের আইল্যান্ড চেইন স্ট্র্যাটেজির মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্র গভীর এক কৌশলগত প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তোলার পাশাপাশি চীনের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিক আক্রমণ চালানোর সক্ষমতাও ধরে রেখেছে।
চীন যত শক্তিশালী হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র তত দ্রুত এই অঞ্চলে তার সামরিক উপস্থিতি বৃদ্ধি করছে। উদাহরণস্বরূপ, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর দক্ষিণ কোরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের মাত্র দুটি ঘাঁটি ছিল। আজ সেখানে রয়েছে ৭৩টি ঘাঁটি। একইভাবে, জাপানে একসময় ৫৩টি মার্কিন ঘাঁটি ছিল, যা বর্তমানে দ্বিগুণেরও বেশি হয়ে ১২০টিতে পৌঁছেছে।
আইল্যান্ড চেইন স্ট্র্যাটেজি (Island Chain Strategy) মূল পরিকল্পনা হয়েছিল ১৯৫০-এর দশকে, যার লক্ষ্য ছিল সোভিয়েত ইউনিয়ন ও কমিউনিস্ট চীন এর কাছাকাছি দ্বীপগুলোতে মার্কিন বাহিনী মোতায়েনের মাধ্যমে এদেরকে ঘেরাও করে রাখা। শীতল যুদ্ধের (Cold War) সময় এই কৌশলটিকে খুব বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। কিন্তু ১৯৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতন এবং চীনের দ্রুত উত্থানের পর যুক্তরাষ্ট্র আবারও এই কৌশলের ওপর মনোযোগ দেয়। যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই কৌশলটি প্রথম সারির প্রতিরক্ষা (First-Line Defense) ব্যবস্থা যার মাধ্যমে চীনকে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়। কিন্তু চীনের দৃষ্টিতে এটি একটি গুরুতর নিরাপত্তা হুমকি, এক ধরনের খাঁচা, যা প্রশান্ত মহাসাগরে তাদের প্রভাব বিস্তারে বাধা সৃষ্টি করছে।
এর জবাবে চীন তার প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (Belt and Road Initiative – BRI)-এর মাধ্যমে — যা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও অন্যান্য অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে।

প্রতিক্রিয়াস্বরূপ, যুক্তরাষ্ট্র তার এশিয়া-প্যাসিফিক কৌশলকে সম্প্রসারণ করে তৈরি করেছে ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি (Indo-Pacific Strategy), যার আওতায় ভারত মহাসাগরীয় উপকূলবর্তী দেশগুলোর সঙ্গে নিরাপত্তা অংশীদারিত্ব গঠন ও জোরদার করা হচ্ছে। সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র বেশ কয়েকটি আঞ্চলিক দেশের সঙ্গে নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। এর মধ্যে রয়েছে কোয়াড অ্যালায়েন্স (Quad Alliance) — জাপান, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত ও অস্ট্রেলিয়াকে নিয়ে গঠিত এই জোটের ঘোষিত উদ্দেশ্য হলো “একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চল বজায় রাখা”; তবে এর অন্তর্নিহিত লক্ষ্য হলো চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব প্রতিহত করা।
একইভাবে, যুক্তরাষ্ট্র জাপান ও ফিলিপাইনের সঙ্গে “জাপুস” (JAPUS) নামে একটি নিরাপত্তা কাঠামো গঠন করেছে, যার অধীনে যুক্তরাষ্ট্র এই দেশগুলোর জন্য সামরিক সহায়তা প্রদান করে — যেগুলো চীনের দরজার কাছেই অবস্থিত।
আরও রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র অস্ট্রেলিয়া, ফিলিপাইন ও যুক্তরাজ্যের সঙ্গে “AUS” এবং “Force Posture Agreement” নামে আরও কিছু নিরাপত্তা চুক্তি।
এই সব অংশীদারিত্বের লক্ষ্য একটিই—চীনকে ঘিরে ফেলা (encirclement of China)।