
ভূভূতের বেগার
আহমেদ সাব্বির
আহমেদ সাব্বির
সন্ধ্যেবেলা শ্যাওড়া গাছে ঝুলছে কয়েকজনা
খুব জরুরী গুপ্ত মিটিং, চলছে আলোচনা।
মুখটা সবার শুকনো এবং ঘাম ঝরানো মাথা
হাতে সবার ক্যালকুলেটর পেন্সিল আর খাতা।
খাতায় হিসাব লিখছে ওরা অংক কষে কষে
সংখ্যা টুকে রাখছে আবার তুলছে রাবার ঘষে।
ক্যালকুলেটর টিপে টিপে ক্লান্ত আঙুলগুলি
যোগ বিয়োগের উত্তেজনায় কাঁপছে ওদের খুলি।
ভূতসমাজেও চাকরিজীবীর সংখ্যা সবার জানা
পে-স্কেলের সুগন্ধে তাই আহ্লাদে আটখানা।
বেতন-ভাতার খসড়া হিসাব করতে গিয়ে খাড়া
ক্লান্ত সবাই, অংক কষে টাটাচ্ছে শিরদাঁড়া ।
`ভূতকণ্ঠে' ছাপছে যতই পে-স্কেলের কথা
ভূতের চেয়ে পেত্নীগুলোর বাড়ছে আকুলতা।
চিন্তা ওদের স্বামীর বেতন বাড়বে কত হারে
সবাই ব্যাকুল জর্জরিত পে-স্কেলের ভারে।
ভূতছানারাও মুখিয়ে আছে বাড়লে বেতন বাবার
প্রতিমাসেই কিনবে নতুন খেলনা এবং খাবার।
'ভূত কমিশন' থাকতে ওরা ঘামিয়ে মগজ মাথা
হিসাব কষে ফেলছে চষে শ্যাওড়া গাছের পাতা।
বেতন ভাতা বাড়বে কত রাখবে কত কেটে
সেই হিসাবই কষছে ওরা ভূতের বেগার খেটে।