ইংরেজিতে অনুবাদ করা যেকোনো ভাষার লেখকের বই সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত হতে পারে। মূলত ইংরেজিতে লেখা বা অনুবাদ করা বইকে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়। তবে নোবেল বিজয়ী অনেক লেখকই ভিন্নভাষী হয়ে থাকেন। এ পর্যন্ত ২৬টি ভিন্ন ভাষার লেখক সাহিত্যে নোবেল পেয়েছেন। নোবেল প্রাইজের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে প্রকাশিত একটি পোস্ট থেকে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
ফেসবুক পোস্টে ওরহান পামুকের একটি পাণ্ডুলিপির ছবি দিয়ে বলা হয়েছে, ‘আপনি কি জানেন এ পর্যন্ত বাংলা, হাঙ্গেরিয়ান এবং তুর্কিসহ মোট ২৬টি ভিন্ন ভাষার লেখকদের সাহিত্যে নোবেল দেওয়া হয়েছে। তুর্কি হল নোবেল বিজয়ী ওরহান পামুকের মাতৃভাষা। তার একটি পাণ্ডুলিপির ছবি এখানে দেওয়া হল।'
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলেন একমাত্র বাংলাভাষী লেখক, যিনি সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন। ১৯১৩ সালে তিনি গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদের জন্য নোবেল পান।
এছাড়া গত বছর সাহিত্যে নোবেল পান দক্ষিণ কোরিয়ার লেখক হান কাং। প্রথমবার দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো লেখক মর্যাদাবান এই পুরস্কারটি অর্জন করতে সক্ষম হন।
উল্লেখ্য, ১৯০১ সাল থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে ১২১ জন লেখককে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। এই নোবেল বিজয়ীরা ২৬টি ভিন্ন ভাষার লেখক ছিলেন। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) ২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেল বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হবে। এবার কোন ভাষার লেখক মর্যাদাপূর্ণ এই পুরস্কারটি পেতে যাচ্ছেন, তা নিয়ে ইতোমধ্যেই জল্পনা-কল্পনা শুরু হয়ে গেছে।