সাহিত্যে ২০২৫ সালের নোবেল প্রাইজ পেলেন হাঙ্গেরিয়ান উপন্যাসিক লাজলো ক্রাসনাহোরকাই। বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) সুইডিশ একাডেমি নোবেল বিজয়ী হিসেবে ৭১ বছর বয়সী এই লেখকের নাম ঘোষণা করেছে।
সুইডিশ একাডেমির স্থায়ী সচিব ম্যাটস মালম এক বিবৃতিতে বলেছেন, লাজলো ক্রাসনাহোরকাইকে তার মনোমুগ্ধকর এবং দূরদর্শী রচনার জন্য এ পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে, যা বৈশ্বিক ভয়াবহতার মাঝেও শিল্পের শক্তিকে তুলে ধরে।
লাজলো ক্রাসনাহোরকাই মূলত পোস্টমর্ডানিস্ট ও মেলানকোলিক উপন্যাসের জন্য পরিচিত। ‘সাটানট্যাঙ্গো’ এবং ‘দ্য মেলানকোলি অব রেজিস্ট্যান্স’ তার উল্লেখযোগ্য দুটি উপন্যাস। এই উপন্যাসগুলো অবলম্বনে সিনেমাও তৈরি হয়েছে। তিনি ২০১৫ সালে ইন্টারন্যাশনাল বুকার প্রাইজ এবং ২০১৯ সালে ন্যাশনাল বুক অ্যাওয়ার্ড ফর ট্রান্সলেটেড লিটারেচার জেতেন।
এদিকে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মার্কিন সাহিত্য পত্রিকা ইয়েল রিভিউতে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে হাঙ্গেরিয়ান এই লেখক জানিয়েছিলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পুনরায় নির্বাচিত হওয়ার ঘটনায় তিনি ভীত। এছাড়া রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নিন্দা জানাতে ব্যর্থ হওয়ায় হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর ওরবানের সমালোচনা করেছিলেন তিনি।
লাজলো ক্রাসনাহোরকাই ১৯৫৪ সালে হাঙ্গেরির গিউলা শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার প্রথম উপন্যাস ‘সাটানট্যাঙ্গো’ ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত হয়। বইটি প্রকাশের পর সাহিত্য জগতে সাড়া ফেলে দেন তিনি। এটি ছিল একটি বিধ্বস্ত গ্রামীণ সম্প্রদায়ের এক বিষণ্ণ ও মন্ত্রমুগ্ধকর চিত্রায়ন। প্রায় তিন দশক পরে ২০১৩ সালে উপন্যাসটি ইংরেজিতে সেরা অনূদিত বইয়ের পুরস্কার জিতে নেয়।
উল্লেখ্য, ১০ ডিসেম্বর একটি জমকালো অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সুইডিশ একাডেমি তার হাতে পুরস্কার তুলে দেবে। সুইডেনের রাজা বিজয়ীর হাতে স্বর্ণপদক, সনদ ও পুরস্কারের অর্থ তুলে দেবেন। পুরস্কার হিসেবে তিনি পাবেন ১১ মিলিয়ন সুইডিশ ক্রোনার (প্রায় ১২ লাখ ডলার)।
সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান